জন্মদিনে প্রেমিকের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে গুলি খেয়ে মারা গেল প্রেমিকা। অবাক করা বিষয় হলো, খুনি তার প্রেমিক নয়, বরং অন্য কেউ। তবে কে সে? কেন করা হলো খুন? তাছাড়া মেয়েটা তো কিছুক্ষণ আগে প্রেমিকের সাথে রাগ করে ফিরে যাচ্ছিল। তবে আবার ফিরেই-বা এলো কেন?
গত দুই যুগ আগে খুন হওয়া তিনজন লোকের কেসের সাথে এখন নতুন করে কীসের সংযোগ তৈরি হচ্ছে? এর নেপথ্যে কী রয়েছে? কেনই-বা এতগুলো বছর পর সেই পুরোনো কেস সামনে এলো?
একজন মধ্যবয়সী পুরুষ, যে কি না নিজের লুপসা সংবারণের জন্য নিজেরই মা-বোনকে শিকার করতেও দ্বিধাবোধ করে না। সেই লোক নেশাগ্রস্তের মতোই একের পর এক ধর্ষণ মামলায় জড়িত। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে জেলখানার ভেতরেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুটা কি আদতে স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন? খুন হলে জেলখানার ভেতরে পুলিশদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কে এসেই-বা খুন করে যাবে?
দেশের বিখ্যাত কোম্পানির এমডির মেয়ের সাথে সামান্য এক কর্মীর মৃত্যুর সংযোগ কী? দুটোই কি আত্মহত্যা? নাকি দুটোই পরিকল্পিত হত্যা? যদি পরিকল্পিত হত্যা হয়, তবে খুনগুলো কে করেছে? তাছাড়া কোম্পানির কর্মীর মৃত্যুর সাথে জুয়েলারি দোকানের কর্মীর সাথে কী সম্পর্ক? কোম্পানির কর্মীর মৃত্যুর সাথে চার বছর আগে খুন হওয়া এক দম্পতির সাথে যোগসূত্র কী?
এতসব অমীমাংসিত কেসের সুরহা কি ঘটবে? সমস্ত রহস্যগুলো কি উন্মোচন হবে? নাকি অন্ধকারের গ্রাসে এই রহস্যগুলোও হারিয়ে যাবে?
প্রিয় পাঠক, এরকম অসংখ্য রহস্য এবং রোমাঞ্চকর টুইস্ট নিয়ে সাজানো ‘শুভ্রছায়া’ গল্পটি নিঃসন্দেহে আপনাকে প্রতি মুহূর্তে দমবন্ধ করা নতুন এক অনুভূতির জগতে নিয়ে যাবে। আপনি কি চান না, এমন দমবন্ধ করা একটা থ্রিলারের সহযাত্রী হতে। কি প্রস্তুত তো?