সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত এ উপন্যাস পৃথিবীর প্রায় ৪০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফেরদৌস একজন মিসরীয় নারী। শত অপমান, লাঞ্ছনা ও নিপীড়নের মধ্যেও সে বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়, বাঁচতে চায় আত্মমর্যাদা নিয়ে। কখনো চায় পালিয়ে বাঁচতে। কিন্তু প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সে তা করে উঠতে পারে না। ধর্মীয় ও সামাজিক ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে অবশেষে মৃত্যুকেই সে আলিঙ্গন করে নেয়। উপন্যাসে কাহিনির উন্মোচন ঘটে মিসরের কানাতির জেলে, ফেরদৌসের ফাঁসির আগের দিন, যখন নির্জন কারাপ্রকোষ্ঠে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফেরদৌস মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লেখকের মুখোমুখি হয়। পৃথিবীর বুকে শেষ রাতটিতে লেখককে তার গল্প বলতে শুরু করে সে। নারীর প্রতি সমাজের নির্মমতার বয়ান এ গল্পে¸র পটভূমি যদিও মিসরীয় সমাজ, তবু আমাদের কাছেও তা খুব পরিচিত ঠেকবে। জীবনভর প্রতারণা, বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার হয়েও ব্যক্তিত্বে ঋজু, আপসহীন, হার না-মানা ও মৃত্যুঞ্জয়ী ফেরদৌস হয়ে উঠেছে দেশ-কালের ঊর্ধ্বে প্রতিবাদী নারীর প্রতিকৃতি, বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।