সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসব ক্ষেত্রে ধৈর্যহারা না হয়ে সবরের সঙ্গে ইমান ও তাকদিরের ওপর অটল-অবিচল থেকে দৃঢ়পদে অগ্রসর হওয়াই অধিক উত্তম।
ভয়াবহ বিপদ কিংবা দুর্যোগের সামনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। একে অন্যের কাছে আশ্রয় খোঁজে, আশ্রয় খোঁজে প্রকৃতির কাছে। সবাই দাঁড়িয়ে যায় একই কাতারে। বৈষম্য ও অনাচার বেষ্টিত এই আবাসভূমি হয়ে যায় সাম্যবাদের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। বড়ো ধরনের বিপদাপদের প্রয়োজন তাই পৃথিবীতে এখনো আছে। প্রতিটি বিপদের দুটি অংশ থাকে। বিপরীত অংশটি হলো জীবন।
পরিস্থিতিই মানুষকে তৈরি করে। পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষও তখন পালটে যায়। মানুষ আসলে জলের মতো। পাত্রের সঙ্গে সঙ্গে সে তার আকার বদলায়।
যারা এগুলোকে আল্লাহর ইচ্ছা মনে করে ধৈর্য-সহ টিকে থাকতে পারেন, তারাই সফল হন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে বলেন, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। [সুরা বাকারা ২:৪৫]