মানুষ কতটা কষ্ট সহ্য করতে পারে, তার আসলে কোনো সীমা নেই।
মানুষ কতটা বোঝা বইতে পারে, তারও কোনো সীমা নেই।
কাউকে কখনো যদি বলা হয়, সে কতো দূর যেতে পারবে, সে নিজের পছন্দসই যেকোন একটা দূরত্ব বলে দেবে সত্যি, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রয়োজন হলে সে মাটিতে মুখ ঘষে ঘষে বহু কষ্টে বহু দূর পর্যন্ত যেতে পারে, শেষ নিঃশ্বাস বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তার চলা থামে না।
এমনই জীবনের গল্প সর্পিল। হেরে না যাবার গল্প সর্পিল।
মৌলী আখন্দ
পৃথিবীতে কিছু মানুষ বুকের গহিনে বয়ে বেড়ায় এক সমুদ্র কথা কিন্তু সামনে থাকা মানুষটিকে বলবার মতো কিছু খুঁজে না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায় নির্বাক নিশ্চুপ। মৌলী আখন্দ সেইসব অসামাজিক নিভৃতচারী মানুষদের মধ্যে একজন। তাঁর জন্ম ১৯৮৬ সালে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বেড়ে ওঠা ও বসবাস ঢাকায় । এক কন্যার জননী। পড়াশোনা হলিক্রস স্কুল ও কলেজে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল থেকে এম বি বি এস পাস করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে শিশু মেডিসিন বিষয়ে কর্মরত । নেশা বই পড়া, উঁইপোকার মতো পুরির ঠোঙা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত সবই পড়তে ভালোবাসেন। স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যমুক্ত পৃথিবীর, যেখানে নারী পুরুষ ধনী গরিব সবাই পাবে সমান সুযোগ ও অধিকার। লেখকের এ পর্যন্ত প্রকাশিত বই “একা”, “ইট রঙের বাড়ি”, “যে জীবন দোয়েলের”, “এখানে রোদ নেই”, “আলোকের এই ঝরনাধারায়”, “সর্পিল”, “আমাদের মেঘবাড়ি”, “নির্মোক”, “স্বপ্নচূড়া” ও “শঙ্কিত শর্বর”। তাঁর সম্পাদিত গল্প সংকলন “শূন্যপুর” বোদ্ধা মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রথম প্রকাশিত বই “একা”র জন্য অর্জন করেছেন পাললিক সৌরভ তরুণ লেখক সম্মাননা ২০২১ এবং “এখানে রোদ নেই” বইটির জন্য ভূষিত হয়েছেন ২০২১ চলন্তিকা সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সেরা উপন্যাসের পুরস্কারে।
মৌলী বিশ্বাস করেন গল্প হলো জীবনের আয়না । সেই আয়নায় জীবনের স্পষ্ট ছবি তুলে ধরতে প্রতিদিন আয়নাটা মুছে পরিষ্কার করেন তিনি। তাই লিখে যান অবিরাম ।