লুৎফুর তার স্বপ্নবালিকাকে কতো কথা যে বলেন! কোনো এক স্বপ্নবালিকার উদ্দেশে এত তরুন প্রেমিকের নৈবেদ্য বলা যায় ছড়ার এই বইটিকে। তুমি আমার পরাণ পাখি টাইপের অনেকগুলো ছড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে এই নৈবেদ্য। লুৎফুর তার প্রাণের সমস্ত আকুতি দিয়ে নির্মাণ করেছেন তার ভালবাসার অর্ঘ্যটি। লুৎফুরের হৃদয়ের যাবতীয় আকুলতা আর ব্যাকুলতার মলাটবন্দি রূপ-স্বপ্নবালিকা। তার আবেগকে ধারণ করেছে চাঁদ কিংবা জোসনার পাশাপাশি ফেসবুক এবং মুঠোফোনও। একজন আধুনিক ছড়াকার তার প্রেমিকার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে কেবল বুকের পিদিম জ্বেলে রেখেই ক্ষান্ত হয় না। প্রেমিকাকে সে খুঁজে বেড়ায় প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের মাঝে। চাঁদ কিংবা জোসনার মায়াবী আলোয় মাখামাখি হয়ে সে তার প্রেমের মন্ত্রপাঠে অনায়াসে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকের সহায়তা নেয়। যাও পাখি বলো তারে সে যেনো ভোলেনা মোরে ধরণের দীর্ঘশ্বাসকে সে ছড়িয়ে দেয় অন্তর্জালে। মুঠোফোনে মিসকল পাঠানোর ক্ষেত্রেও সে পিছিয়ে থাকেনা। মোটকথা যোগাযোগের সম্ভাব্য সবকটি মাধ্যমকেই সে ব্যবহার করে অপরূপ দক্ষতায়। স্বপ্নবালিকায় লুৎফুর সেই চেষ্টাটাই করেছেন।