ভূমিকা চল্লিশ বছর হয়ে গেল বই প্রথম লিখি।আসলে দেবীদাস মজুমদার বলে বিজ্ঞানের বিখ্যাত সহপাঠীর সঙ্গে মিলে কিশোর -পাঠ্য বিজ্ঞানের বারোটি ছোট বই তৈরি করেছিলাম। পুরো সিরিজের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বিজ্ঞান বিচিত্রা’ । তার মধ্যে বর্তমান পুস্তকটি নয়’ নম্বরের বই। চার দশক আগের লেখা এই বইগুলোর প্রাসঙ্গিকতা তখই যাই থাক না কেন, এ বিষয়ে সন্দেহ সেই যে আজকের বিজ্ঞানের সঙ্গে তফাত আকাশ-পাতাল। বিজ্ঞানের অগ্রগতির হার ক্রমশিই এমন অভাবনীয় হয়ে উঠেছে যে আমাদের যুগে একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী (জে.ডি বার্নাল: J.D> Bernal) একবার মন্তব্য করেছিলেন যে গত দশ বছরে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ গবেষণা হয়েছে তার তুলনায় আগেকার আড়াই হাজার বছরেও তা একদিক থেকে যেন নাগাল পাচ্ছে না। তাহলে চল্লিশ বছর আগে লেখা বইয়ের পুনর্মদ্রণ অবশ্যই অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে নতুন করে ছাপার অর্থটা কী? উত্তরে লেখক ও প্রকাশকের একই কথা। গবেষণঅর খুঁটিনাটি দিক থেকে এই অভাবনীয় অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈজ্ঞানিক মনোভাব বলতে মোটর ওপর একই থেকেছে । মান্ধাতা আমলের প্রাচীন দৈত্য-দানবের কল্পনাকে হটিয়ে বিশ্বের বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান পাবার আদর্শ। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি আর দেবীদাস বইগুলো লিখেছিলাম। কিশোর কিশোরীর মন সঠিক পথে আনবার চেষ্টা করেছিলাম। আজকের দিনে বলা যায় ধর্মন্ধতা ,মৌলবাদ প্রভৃতি নতুন মুখোশ পরে ওই আদিম ভূত-প্রেতের দল যে তাণ্ডব শুরু করেছে তার ফলে পৃথিবীর লক্ষ -কোটি মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দেবীপ্রসাদ চট্রোপাধ্যায়