মানুষের মন ও মনের গতিবিধিকে কাঠামোবদ্ধ করে মনঃসমীক্ষণ বা শিশু-মনঃসমীক্ষণ তত্ত্ব হাজির করেন সিগমুন্ড ফ্রয়েড। আর এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই তাঁর কন্যা আনা ফ্রয়েড শিশু-মনঃসমীক্ষণ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের একটি শিশুকেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশে আনা ফ্রয়েড বর্তমান গ্রন্থভুক্ত বক্তৃতা চারটি প্রদান করেন।
আমরা কেন শৈশবের স্মৃতি স্পষ্টভাবে মনে করতে পারি না? শিশুর শিক্ষা মূলত কোন বয়স থেকে শুরু হয়? শিশুর সঙ্গে অভিভাবক বা শিক্ষকের দ্বন্দ্বের উৎস কী?Ñএরকম নানা প্রশ্ন আলোচিত হয়েছে এ-বক্তৃতাগুলোতে। সেই সঙ্গে, মনঃসমীক্ষণিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুর মানসিক বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়, শিশুর যত্ন শৈশবের প্রশিক্ষণ এবং শিশুর শিক্ষা প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষাবিজ্ঞানকে আধুনিক ও আরো বেশি ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে মনঃসমীক্ষণ কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় আনা ফ্রয়েডের আলোচনা থেকে।