নিজের বাবার পরিচয় জানাটা যেমন জরুরি, তেমন জরুরী নিজ জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে জানা। নিজ জাতির ইতিহাসের সাথে মিশে থাকে, আপন রক্তের ঘ্রাণ, নাড়ীর টান। নিজের রক্ত ও নাড়ীর সম্পর্কে, নিজের শেকড় সম্পর্কে উদাসীন থাকলে কি হবে? শিখরে চড়তে চাইলে শেকড় মজবুত করতে হবে! নয়তো হালকা একটা কাল বৈশাখীর ঝাপটায় শেকড়শুদ্ধ উপড়ে পড়তে হবে। সেই এক বালিকার চিৎকারে আরবের মরু থেকে উঠে এলো এক তেজদীপ্ত বালক, দোর্দণ্ড প্রতাপে জয় করে নিল সিন্ধু, ভেঙে দিল জালিমের কালো হাত! মনে আছে সেই কথা? আরে ওই-তো আমাদের শেকড়? তারপর থেকে জমুনার জল কত গড়ালো, কি বিশাল সভ্যতা তৈরি করলাম আমরা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও প্রকৌশলে কত উন্নত ও সমৃদ্ধ হলো আমাদের মহাভারত—যার গর্ভ থেকে উঠে এসেছি আমরা, এসবই আমাদের নাড়ীর কথা, এসব কিছুই মিশে আছে আমাদের রক্তে। আমাদের রক্তের উৎস, নাড়ীর টান, শেকড়ের সংবাদ— এই সকল অজানা অধ্যায় উঠে এসেছে দুই-দুই চার মলাটের এই অনবদ্য গ্রন্থে, সিন্ধু থেকে বঙ্গ। বাবার পরিচয় না পাওয়া বালকটাকে সারা জীবন এই কলঙ্কের বোঝা বয়ে যেতে হয়, কিন্তু নিজ জাতির ইতিহাস না-জানার ভুলটা চাইলে শুধরে ফেলা যায়। ঠিক এই ভুল শুধরানোর প্রয়াসটাই করছে চেতনা প্রকাশন