ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আনন্দের কথা যে, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর শিম কীভাবে রান্না করতে হয় প্রকাশিত হলো।এই উপন্যাসিকার উপশিরোনাম ‘এক এশীয়র ফ্রান্স-অভিযান।’ কদর্য এশীয়সহ ওয়ালীউল্লাহ অন্য চার উপন্যাসের সঙ্গে এর প্রধান তফাত, এটি মূলত চটুল ভঙ্গিতে লেখা।এর মূল চরিত্র এক প্রাচ্যবাসী, গল্পের কথকও তিনি।এক আলিশান এশিয়ান হোটেলের ডাইনিং রুমে বসে প্রাচ্যবাসী দেখলেন, এক ফরাসি ভদ্রলোক ওয়েটারকে ধমকে বলছেন, শিম এভাবে রাঁধতে হয় না, শেফকে ডাকুন। হন্তদন্ত হয়ে হোটেলের শেফ এলেন।ফরাসি ভদ্রলোক তাঁকে শিম রান্নার কৌশল বাতলে দিলেন। প্রাচ্যবাসী এর কিছু বুঝতে পারলেন না। তিনি আকস্মিকভাবে ঠিক করলেন, যে দেশের মানুষ নিখুঁতভাবে শিম রাঁধতে জানে, তাঁকে সেই দেশে যেতে হবে।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর ফরাসি দেশে অভিযাত্রার কৌতুককর বর্ণনা দিয়েছেন লেখক।এ উপন্যাসিকায় ওয়ালীউল্লাহ একজন প্রাচ্যবাসীর দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমের একটি দেশকে হাজির করেছেন উদ্ভট চেহারায়, এর বাইয়ের ভব্যতার চামড়াটি খসিয়ে দিয়ে।প্রাচ্যবাসীকে হুল ফোটাতেও ভোলেননি তিনি।