আমরা প্রায় সময় বলি, আল্লাহ! কেন আমাদের সাথে এমন হচ্ছে?
অনেকেই আফসোস করে বলে-যদি আল্লাহ থেকেই থাকেন, তাহলে কেন নিরীহ মানুষের ওপর জালিম চেপে বসে? কেন অনাহারে, দুর্ভিক্ষে, বন্যায় মানুষ মারা যায়?
আমাদের মনে নানান প্রশ্ন জাগে। নিজেদের অবস্থা দেখে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। অপেক্ষা করি, আমাদের উদ্ধারের জন্য বুঝি আবার আবাবিল পাখি আসবে; কিন্তু আসে না।
আমাদের এই হতাশার কথা আজ থেকে ১০০ বছর আগে তুলে ধরেছিলেন আল্লামা ইক্বাল তার শেক্ওয়া তথা আল্লাহর কাছে অভিযোগ কাব্যের মাধ্যমে, যা তৎকালে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছিল।
তার ঠিক চার বছর পর ইক্বাল লিখেন এই কবিতার জবাব। আল্লাহর কাছে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন, তার জবাব আল্লাহ কীভাবে দিতে পারতেন, সেটাই তুলে ধরেছেন জওয়াবে শেক্ওয়া কাব্যে।
এই দুটি কাব্য বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এগুলো শুধু কাব্য না, আধ্যাত্মিক সংলাপ। বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে এক পবিত্র ও হৃদয়গ্রাহী সংলাপ। যে সংলাপে ওঠে এসেছে ইতিহাস, দর্শন, সমাজব্যবস্থা ও মনস্তত্ত্ব।
বাংলাভাষায় বইটির একাধিক অনুবাদ প্রকাশিত হলেও এই অনুবাদটি একটু বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই অনুবাদগ্রন্থের ভূমিকা লিখেছিলেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন পর হারিয়ে যাওয়া শেকওয়া ও জওয়াবে শেক্ওয়া বাংলাভাষী পাঠকের সামনে আবার তুলে ধরতে পেরে আমরা পুলকিত।
১০০ বছর আগের কাব্যগ্রন্থ এই সময়েও কতটা প্রাসঙ্গিক, তা পাঠক গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।