শিকড়ের সন্ধানে (পেপারব্যাক)
#বই_রিভিউ শিকড়ের সন্ধানে (হামিদা মুবাশ্বেরা) প্রকাশনীঃ সমকালীন প্রকাশন পার্সোনাল রেটিংঃ ৯/১০ প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ বইমেলায়। কুরআন শরীফে বিভিন্ন গোত্রের উল্লেখ রয়েছে,যাতে আমরা তাদের পরিণাম জেনে শিক্ষা নিতে পারি। কিন্তু যদি আমরা আগে থেকে কিছু ইতিহাস না জেনে কুরআনের অর্থ পড়তে যাই তাহলে আমরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো। তাই আমাদের আগে উচিত ঘটনাগুলোর ক্রম জেনে তারপর অনুবাদ পড়া। "শিকড়ের সন্ধানে" সেই প্রচেষ্টাই করেছে। কুরআনে বর্ণিত বনি ইসরাইলের ধারা, তাদের পরিণাম, তাদের ভুলগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে বনি ইসরাইল থেকে মুসলিম, ইহুদি, খৃষ্টান বিভক্ত হয়েছে তা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিটা ঘটনায় আমাদের জন্য কি শিক্ষনীয়, কিভাবে আমাদের জীবনে শিক্ষাগুলো কাজে লাগাতে পারি সেগুলো লেখিকা খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন❤ বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন অতীতে কতো জঘন্য ঘৃণ্য কাজ করেছিলো বনি ইসরাইল,এবং তারপরও মহান আল্লাহ তাদের বহুবার ক্ষমা আর দয়া করেছেন। তারপরও তারা নিজেরাই তাদের ধ্বংস বয়ে এনেছে যুগে যুগে। লেখিকার বিচক্ষণ ক্ষমতা অসাধারণ। প্রতিটি অধ্যায়ে আমাদের জন্য কি কি শিক্ষা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করেছেন ঘটনার প্রেক্ষিতে। আমি উনার ফ্যান হয়ে গেছি। কয়েকটি প্রিয় উক্তিঃ যদি দেখেন, আপনার দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে আগ্রহ জন্মেছে, তাহলে ধরে নিন এটা আল্লাহর তরফ থেকে আপনার জন্য সুসংবাদ। আল্লাহ যার কল্যাণ সাধন করতে চান,তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। God does not do any ungodly task Happy reading 😋
বনী ইসরাইলের কাহিনী সুন্দর ভাবে জানার জন্য শিকড়ের সন্ধানে বইটির বিকল্প খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই বইটি পড়ে আমি জানতে পারলাম কিভাবে আমরা একই উম্মাহ থেকে পরে মুসলিম, ইহুদী আর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ে বিভক্ত হলাম। এই বইটি পড়লে কুরআন শরীফের অনুবাদ বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। লেখিকা হামিদা মুবাশ্বেরা কুরআন শরীফের যেই যেই অংশের ব্যাখ্যা করেছেন সেই অংশগুলো কোন সূরার অন্তর্ভুক্ত সেটা উল্লেখ করে দিয়েছেন যা পাঠকের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অত্যন্ত তথ্যবহুল একটি বই শিকড়ের সন্ধানে।
শিকড়ের সন্ধানে বইটি শেষ নবীর আগমন বার্তা পর্যন্ত সকল মূখ্য ঘটনাই তুলে ধরেছেন তার বইতে যা আপনাকে ইহুদি, খ্রিস্টীয় এবং মুসলিম ব্যাপারে জানতে সাহা্য করবে এবং ধর্মের উপর সংশয় ও খটকা থাকলে দূর করবে। এছাড়া ধর্ম থেকে অনুসারীগন কিভাবে পথভ্রষ্ট হয় তাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন লেখিকা। আমার নিজস্ব মতামত হলো বইটা আমার কাছে খুবই অসাধারণ লেগেছে। ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের নিয়ে ভুল ধারনা ছিলো আমার যা এই বই পড়ে ধারনাগুলো শুধরে নিয়েছি।
ইসলাম নিয়ে জানার অনেক আগ্রহ।কিছুদিন আগে "শিকড়ের সন্ধানে" বইটি পড়ে অনেক ভাল লাগল।জানার আগ্রহ যেন আরো বেড়ে গেল।লেখিকা খুবই সুন্দর, সাবলীল ভাষায় কাহিনীগুলো রেফারেন্স সহকারে উপস্থাপন করেছেনসুন্দর, সাবলীল, জ্ঞানমূলক এবং রেফারেন্স সহ বই"শিকড়ের সন্ধানে
শিকড়ের সন্ধানে,,,,,, যাপিত জীবনের যাবতীয় যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা ভুলে গেছি আমাদের শিকড়ের কথা। আমাদের ঠিক গোঁড়ার কথা, যেখান থেকে উদ্ভুত আমরা, আমাদের পরিচয়। কতো ঝঞ্চা-বিক্ষুব্ধ কতো ঝড়-ঝঞ্চাট, কতো সাহস আর সংকটের মধ্য দিয়ে গড়া আমাদের এই পরিচয়, আমরা কি তা জানি? আমাদের সেই না জানা, কিংবা না জানতে চাওয়া পরিচয়ের সন্ধানে, এক অনন্য, অসাধারণ যাত্রার নাম ‘শিকড়ের সন্ধানে’। সুরা ফাতিহার শেষ আয়াতে আমরা অভিশপ্তদের (ইহুদি) ও পথভ্রষ্টদের (খ্রিষ্টান) অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কিন্তু এখানে অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট বলতে যাদের কথা বোঝানো হয়েছে (ইহুদি এবং খ্রিষ্টান) তাদের সম্পর্কে আমরা কতজনই বা জানি! খ্রিষ্টানদের সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলেও ইহুদিদের সম্পর্কে জানা আছে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। কুরআনের এক বিশাল অংশ জুড়ে বনি ইসরাইলদের কথা বলা আছে, যা আমরা বিভিন্ন সুরাতে দেখতে পাই। কোনো সুরাতেই এদের শুরু থেকে শেষ সম্পূর্ণ কাহিনী বলা হয়নি। তাই কুরআনের অর্থ পড়ার সময় অনেক কিছুই স্পষ্ট বোঝা সম্ভব হয় না। এই বইটিতে এই সুবিশাল অংশ নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। বনি ইসরাইলের ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হয়েছে, যা বইটি পড়ার পর কুরআনের অর্থ পড়তে গেলে বনি ইসরাইলের ঘটনাগুলো বোঝা আরো সহজ করে দিবে। কুরআনের অর্থ পড়ার মজা বাড়িয়ে দিবে। এক উম্মাহ থেকে কীভাবে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম এই তিনটি জাতির উদ্ভব হয়েছে তাও সহজেই বোঝা যাবে এই বইটি থেকে। বইটি এমন, হাতে নিলে আর রাখতে ইচ্ছা করে না। যে কাহিনী গুলো এতদিন বুঝতাম না, লেখিকা যেনো সেই কাহিনীগুলোই সুন্দর করে সাজিয়ে হাতে তুলে দিয়েছেন। শুধু যে ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেছেন তা না, এই দুই জাতিকে আল্লাহ যে কারণে অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট বলেছেন সে কারণগুলো নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং তাদের ভুলের সাথে আমাদের ভুলগুলোর সাদৃশ্য দেখিয়ে দিয়েছেন। যে বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা হলো : ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের পরিচয়, ইসলামের সাথে তার সম্পর্ক। কুরআনের সুবিশাল অংশ যা নিয়ে কথা বলে তা জানা ও বোঝা। ইসরাইল রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার ধর্মীয় দাবি যে ভিত্তিহীন তা বোঝা। তাই পাঠক বন্ধুদের এই জাতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে এই বইটি খুব উপকারী হবে আশা করছি,,,,,,
"শিকড়ের সন্ধানে" সিরিজটি খুব সাবলীলভাবে সহজ করে লেখা । আরবী যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা না , এই ইতিহাস গুলা জানা থাকলে কুরআন এর অনুবাদ পরে বুঝা একটু হলেও সহজ হবে । শিকড়ের সন্ধানে বইয়ের একটা সুন্দর দিক না বললেই না, কুরআনের যে কোনো কাহিনী বর্ণনা শেষে লেখিকা ফুটনোটে ঊল্লেখ করে দিয়েছন এই কাহিণী কোন কোন সূরায় পাওয়া যাবে । এখন আমাদের সবার হাতেই স্মার্টফোন আছে । স্মার্টফোনে একটা কুরআনের এপ ডাউনলোড করে সহজেই আমরা দেখে নিতে পারব সেই সূরা গুলা । এক বসায় অনেক গুলা আয়াত পড়া হইয়ে যাবে সহজে । সত্যিকার অর্থে এই বইয়ের নামের মাধ্যমেই এর উদ্দেশ্য স্পস্ট হইয়ে গেছে । যে কোন গাছের জন্য যেমন শিকড় সব চেয়ে গুরুত্তপুর্ন অংশ তেমনি প্রতিটি মুসলিমের জন্য ও তার আত্তপরিচয়, অস্তিত্তের ধারাবাহিক ক্রম জানাটা খুব জরুরি । শিকড়ের জত্ন না নিলে যেমন গাছের সবুজ পাতারা রঙ হারিয়ে ঝরে পরে, ডাল-পালা রুক্ষ, শীর্ণ হইয়ে জায়, এক সময় চরম মূল্যবান গাছও তার উপজোগিতা হারিয়ে ফেলে তেমনি আমরা জন্মসূত্রে মুসলিমরাও যেন নিজেদের জীবননের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদাসীন হয়ে এক ভুলের সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি প্রতিনিয়ত । কঠিন বিষয়টি সহজ করে বলার মুন্সিয়ানা দেখতে পারে যাদের বিষয়টি সম্পর্কে রয়েছে অগাধ ধারনা । ইতিহাসের দলিল এবং যুক্তির উপর দাড় করানো বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নবীদের (বিশেষত মুসা (আঃ) এর জীবনের ঘটনা প্রবাহ) জীবনী নিয়ে আল্লাহ আমাদেরকেই কি বলতে চাইছেন তার বর্ণনা রয়েছে বইটিতে । সব চেয়ে গুরুত্তপূর্ণ বিষয়টি হলো, মুসা (আ) সহ অন্যান্য নবীদের জীবণী থেকে যে শিক্ষা আল্লাহ তা'লা আমাদের দিয়েছেন নবীজি (স) কি করে তার সময় কালে আরোপ করেছেন তার সাথে লেখিকা আমাদের পরিচয় করিয়েছেন । ইব্রাহিম (আ) এর প্রক্রিত অনুসারি হিসাবে দাবি করা লোক মানুষ গুলা আজকে কি ভাবে ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিম এই তিন পরিচয়ে বিভক্ত এবং কারা এখনো ঘটনা পরিক্রমায় সত্য পথে রয়েছে সেই ইতিহাস প্রাঞ্জল ভাবে ফুটে এসেছে এই বইটিতে । লেখিকাকে ধন্যবাদ কান্ডারি বিহীন এই প্রজম্মকে এমন একটি দিশারী দিয়ে সাহাজ্য করার জন্য । আল্লাহ তা'লা উনাকে ইসলামের ব্রিহত কল্যানে নিয়োজিত করে আমাদের উপকার করার তৌফিক দিন ।
একজন ইব্রাহীম (আঃ) থেকে কিভাবে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলিম তৈরী হল তা খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখিকা বোন তার শিকড়ের সন্ধানে বইতে। বনি ইসরাইলের পরিচয় থেকে বাইবেলের সর্বশেষ নবীর আগমন বার্তা পর্যন্ত সকল মূখ্য ঘটনাই তুলে ধরেছেন তার বইতে যা আপনাকে ইহুদি, খ্রিস্টীয় এবং মুসলিম ব্যাপারে জানতে সাহা্য করবে এবং ধর্মের উপর সংশয় ও খটকা থাকলে দূর করবে। এছাড়া ধর্ম থেকে অনুসারীগন কিভাবে পথভ্রষ্ট হয় তাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন লেখিকা। আমার নিজস্ব মতামত হলো বইটা আমার কাছে খুবই অসাধারণ লেগেছে। ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের নিয়ে ভুল ধারনা ছিলো আমার যা এই বই পড়ে ধারনাগুলো শুধরে নিয়েছি।