শিকলবন্দী ক্ষমা
বইবাজার মূল্য : ৳ ১৫২ (২০% ছাড়ে)
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ১৯০
প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
বিষয় : বাংলা নাটক , বইমেলা ২০২০
এ সমাজের মানুষগুলো কেন যেন অন্যদেরকে ক্ষমা করতে চায় না। ক্ষমাগুলোকে যেন তারা শিকলে বন্দী করে রেখে দিয়েছে। সাথে নানাজনের নানা রঙের ফন্দি যোগ হয়েছে। কেউই শিকল ভাঙার সন্ধি গড়ে তুলছে না। কেউ কাউকে ক্ষমা করছে না। এভাবে চলতে থাকলে এই পাথুরে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য। কাউকে না কাউকে শিকল ভাংতে হবে। কে আসবে? কে তার জীবন বাজী রেখে অপূর্ব ক্ষমার নজির স্থাপন করবে। সেই কাঙ্ক্ষিত সময়ই বা কখন আসবে? আলহামদুলিল্লাহ! সে সময় এসেছে। শিকলে বন্দী কাঙ্ক্ষিত সেই ক্ষমাকে ছিনিয়ে আনার সুযোগ এবার এসেছে। বন্দী শিকল থেকে নিজেকে মুক্ত করে নেওয়ার, অবরুদ্ধ সমাজকে আলোর পথ দেখাবার, বন্দী বলয় থেকে মানুষকে মুক্ত করে নিয়ে আসার প্রত্যয় নিয়ে আযান প্রকাশনীর এবারকার আয়োজন কালজয়ী নাটক "শিকলবন্দী ক্ষমা"।
বই: শিকলবন্দী ক্ষমা ২৯ বছর বয়সী যুবক আব্দুত তাওয়াব ছিলো সফল ব্যবসায়ী। তার সম্পত্তির অধিকাংশই সে ব্যয় করেছে আত্মীয় এবং দুঃখীদের জন্য। এই মহান ব্যক্তিটিও একবার অপকর্মে লিপ্ত হয়। এবং revenge of nature এর মতো তা আবর্তিত হয় তার আশপাশের লোকদের মাঝে। আর এর অনুশোচনার দ্রোহে সে মৃত্যু কোলে পৌঁছে। আব্দুত তাওয়াবের অনুশোচনা হলো এবং সে কৃত পাপের কথা গোপন রাখলো এবং নিজের পাপের অনুশোচনার তাপে জ্বলেপুড়ে মরছিলো। সে তার সাথে কৃত সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেয়। তাকে দেখে মনে হয় তার জন্মই হয়েছে বদান্যতা আর ক্ষমাশীলতার জন্য। এবং এই চরিত্রের জন্য সেও ক্ষমা পেয়ে যায় অন্তিম মুহূর্তে। এভাবেই খুলে যায় ক্ষমার শিকল আর মুছে যায় পাপের ধারা। আর আব্দুত তাওয়াব তাওবা করে ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। তার শেষ কথা গুলো ছিলো খুবই চমৎকার "ইয়া আল্লাহ! আমি যা জানি আর যা জানি না সে রকম সব গুনাহ আপনি ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ আমি যাদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করেছি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আরও যারা আমার প্রতি খারাপ ব্যবহার করেছে তাদেরকে ও ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ! আপনার ক্ষমা দিয়ে আপনি আপনার সকল বান্দার গলা থেকে গুনাহের শিকল খুলে দিন। তাই বইটি পড়লে জানতে পারবেন অনুসুচনা ও ক্ষমা চাওয়ার দৃষ্টান্ত।।।।
নাটকের কাহিনী মূলত আব্দুত তাওয়াব নামের এক ধনী ব্যবসায়ী এবং তার পরিবার-প্রতিবেশীদের নিয়ে রচিত। চারদিকে আব্দুত তাওয়াবের সুনাম রয়েছে, তিনি অত্যন্ত দানশীল একজন ব্যক্তি। বিধবা বোন আসিয়া ও তার মেয়েদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নেন। তিনি এতটাই দানশীল যে, বন্ধু কাসেমের বিশাল ঋণের বোঝা তিনি একাই পরিশোধ করে তাকে জেল থেকে বের করে আনেন এবং বন্ধু ব্যবসায় পুঁজি দিয়ে বন্ধুকে শামে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই দিকে আব্দুত তাওয়াবের বিয়ে হয় কাউসার নামে এক তরুণীর সাথে। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পর আব্দুত তাওয়াবকে শাম চলে যেতে হয় ব্যবসার কাজে। ফিরে এসে দেখতে পান, স্ত্রী কাউসার ভীষণ অসুস্থ। অথচ আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে, কাউসারের পরিবার আব্দুত তাওয়াবকে স্ত্রীর কাছে ঘেঁষতে দিতে চায় না। এমন অবস্থায় কাসেমের শাশুড়ির কাছে আব্দুত তাওয়াব শোনেন, স্ত্রী কাউসার গর্ভবতী! আব্দুত তাওয়াব এই ঘটনা বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস—কোনোটাই করতে পারেন না। তার কেবল মনে হতে থাকে, অতীতের কোনো গোপন পাপের শাস্তিই কি আল্লাহ্ তাকে দিচ্ছেন? কী সেই শিকল, যা আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে তাকে? সত্যিই কি আব্দুত তাওয়াবের স্ত্রী ব্যভিচারী ছিলেন? নাকি এটা নিছক অপবাদ? কী-ইবা হয়েছিল, যার কারণে পাপের এক ঘূর্ণায়মান চক্রে আটকা পড়তে হয় আব্দুত তাওয়াব, তার স্ত্রী কাউসার, বন্ধু কাসেম, কাসেমের স্ত্রী, বোন এমনকি বোন-জামাইকেও? বন্দী শিকল থেকে নিজেকে মুক্ত করে নেওয়ার, অবরুদ্ধ সমাজকে আলোর পথ দেখাবার, বন্দী বলয় থেকে মানুষকে মুক্ত করে নিয়ে আসার প্রত্যয় নিয়ে আযান প্রকাশনীর এবারের আয়োজন কালজয়ী নাটক “শিকলবন্দী ক্ষমা”। বইঃশিকলবন্দী ক্ষমা