ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কারের ব্যাপ্তি ঘটেছে সমাজের সর্বত্র। অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সবাই অনুধাবন করতে পেরেছে অনাগত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আরোকবর্তিকা এগিয়ে নেয়ার জন্য দুর্নীতি মুক্ত সমাজ অপরিহার্য।
শিক্ষাক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য বিরাজমান তা দূর করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী একটি শিক্ষানীতি প্রয়োজন। উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবের কারণে ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুবই কম। তাই দক্ষ শিক্ষক তৈরির উদ্যোগ নেয়া অত্যন্ত জরুরী। স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আলোকে সরকারের শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া উচিত। বেসরকারীভাবে পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরো উদ্যোগী ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন। দুর্নীতি বেসরকারীখঅতের শিক্ষার উন্নতির পথে একটি বড় বাধা। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের কোন কোন ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে রপ্তানিমুখী শিল্পে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। কোথাও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে আবার কোথাও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। শিল্পখাত বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। তাই দেশি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি আজ খুবই প্রয়োজন। বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো উচিত। বিশেষ করে শিল্পখাতে বিনিয়োগের অর্থ করমুক্ত, বিনিয়োগের স্বার্থে সে সুবিধা পুনরায় বহাল করা দরকার। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার মূলধনের ৫০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়ার বাধ্যবাধকতা থাকা প্রয়োজন। এ বাধ্যবাধকতা না থাকায় বেশকিছু বিদেশি কোম্পানি প্রচুর মুদ্রা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।