ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘শিকার’ উপন্যাসিকাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় বেড়ে উঠেছে। জঙ্গলঘেরা দূরবর্তী এক পাহাড়ী গ্রামে খাদ্য-ঘাটতি, সার্বিক দারিদ্র আর অক্ষম লোকেদের যুদ্ধক্ষেত্রে থাকার কারণে বিরান অঞ্চল-এই হচ্ছে যুদ্ধের অভিঘাত। সেখানে হতদরিদ্র এক পরিবারের কিশোর ছেলে ও তার বালক ছোট ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ হয় কালো আমেরিকারন এক পাইলটের। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে জঙ্গলে পড়লে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এই বিমান-যোদ্ধাকে গ্রামের লোকেরা বন্দি করে রাখে এক কুঠুরির মধ্যে। সেখানে অপরিচিত হিংস্র কোনো পশুকে যেমনভাবে দেখা হয় তেনম দৃষ্টিতেই দেখা হয় ঐ বৈমানিককে; কিন্তু তারই মধ্যে এক মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঐ কিশোর আর বৈমানিকের মধ্যে। কারো কথা কেউ বোঝে না, তবুও অদৃশ্য এক মানবিক সম্পর্কে কারণে ঐ বৈমানিককে মারা হোক তা চায় না গল্পের কিশোর নায়ক। তবুও যোগাযোগের গভীর সমস্যায় আক্রান্ত এ দুই পক্ষের ভুল বুঝাবুঝির কারণে এই কিশোরকে জিম্মি হিসেবে আটকে ফেলে কালো আমেরিকান বৈমানিক। এই অতিশয় মানবিক কাহিনীই হচ্ছে ‘শিকার’ উপন্যাসিকাটির উপজীব্য। এর সঙ্গে সংযোজিত হলো লেখকের আরো দুটি গল্প-১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ‘আসমানী ভূত আঘব ‘ এবং ১৯৮০ সালে প্রকাশিত ‘রেন-ট্রি’।