ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জুলফিকার নিউটনের উপন্যাস পাঠের পরিক্রমা শেষে সামগ্রিকভাবে কয়েকটি সহজেই মনে আসে। তিনি তাঁর উপন্যাস বিষয়ে একাধিক ক্ষেত্রে নর-নারীর প্রেমবোধের স্বরূপ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন শিল্পীর মানসিকতায়। জুলফিকার নিউটন মানুষে মানুষে ভালবাসা, সখ্য, মানুষের জীবনর সুস্থিতি, আশাবাদ, নানান বৈপরিত্যের ব্যঞ্জনায় আঁকতে সক্ষম এবং সফল। লেখকের আঁকা মানুষগুলো প্রধানত উচ্চবিত্ত সমাজ ও মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সীমায় সক্রিয় থাকে। লেখক নিদ্র্রিধায় নিজেকে উপন্যাসের বিসয়ে ও চরিত্র সূক্ষভাবে যুক্ত করতে আগ্রহী। নিজের কথাই নিজে বলেন সততায় ও নিষ্ঠায়। নারী চরিত্রে বৈচিত্র্য ও জটিল মনস্তত্ত্বকে জুলফিকার নিউটন যেভাবে আঁকতে উৎসুক , তা তাঁর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির নতুনত্বের অভিজ্ঞনেরিই সমর্থন। জুলফিকার নিউটনের আঁকা চরিত্রের গ্যালারিও পাঠকের অস্বাভাবিক বা অচেনা বলে মনে হয় না। সামাজিক ও নাগরিক চরিত্রগুলো সবই তিাঁর মা, বাবা, ভাই-বোন ,কাকা-জ্যেঠা ইত্যাদি আত্নীয় স্বজন বা রাস্তা-ঘাটে হাটে -বাজারে অফিস কাছারিতে নিয়ত দেখতে পাওয়া চেনা মানুষের আদলে আঁকা বলে মনে হয়। আর ভাষা? জুলফিকার নিউটনের ভাষার মধ্যে কোনো বানিয়ে তোলার ব্যাপার নেই। যে ভাষায় তিনি গল্প উপন্যাস লেখেন, তার মধ্যে কোথাও কোনো কসরত কিংবা পাঁচ জনের থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখবার চেষ্টা আমাদের চোখে পড়ে না। তাঁর ভাষায় কৃত্রিমতার চিহৃ নেই। যে ভাষায় আমরা কথা বলি ,চিঠি লিখি এও সেই স্বাভাবিক ভাষা আর এরই ফলে তাঁর গল্প উপন্যাস এবং অনুবাদ সাহিত্য এমন একটা সতেজ সাবলীল প্রাণময়তার সঞ্চার হয় , পাঠককে যা প্রবলভাবে কাছে টানে।