শেষ পর্যন্ত
সে দিন রাতে নয়ন খুন হয়। নয়নের বিছানায় খুন হয়। তার শরীরের রক্তে সব ভিজে গেছে। মারা যাওয়ার পর ও চোখ টা তাকিয়ে আছে। চোখ দেখে মনে হবে কাউকে খুঁজছে।তার গলাটা কেটে দেওয়া হয়েছে। কাটা গলা দিয়ে ফিনকির মতো রক্ত বেড়েছে। যে করেছে সে আনাড়ি একজন মানুষ। খুব তড়িঘড়ি করেই কাজটা সমাধান করেছে। নয়ন ঘুমিয়েছিলো তাই তার গলাটা কাটকে সমস্যা হয় নি।যে খুন করেছে সে একা একাই কাজটা সমাধান করেছে। নয়নের বালিশ তার মাথায় দেওয়া নেই। বালিশটা মুখের উপর চাপ দিয়ে তার উপর বসে গলাটা কেটে দিয়েছে। যেই চাকু দিয়ে গলাটা কেটেছে সেই চাকুটা পাশে ফেলে দিয়ে গেছে।পাশে তাবিজ রাখা। সব কিছু তদারকি করলে বুঝা যায় যে, খুব পরিকল্পিত ছেলেটা সুযোগ খুঁজছিল আর খুব ঝটপট কাজটি করে সরে গেছে কথাগুলো বলছিল ইন্সপেক্টর রেহান। নয়নের মৃত্যুতে সবাই মুষড়ে পড়েছে। এরপরও বাড়ির সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সংবাদপত্রের সাংবাদিক এসে ছবি তুলেছে। এমন কেইসখুব ভয়াবহ বিব্রতকর অবস্থা হয়। মাহাতাব সাহেব। রেহানকে একটা চেয়ার এনে দেওয়া হয়েছে, রেহান সবার উদ্দেশ্য করে বলছে, এই ছেলেটা যে খুন হলো আপনারা কি কাউকে সন্দেহ করেন? নয়নের সাথে কি কারো শত্রুতা ছিল? মানসিক ভারসাম্যহীন তার শত্রুতা হবে কি করে? এই ছেলের সাথে তো হওয়ার কথা নয় কিন্তু মানসিক ভারসাম্য ছিলো। এই ছেলের সাথে তো কারোর দ্বন্দ হবার কথা না।ছেলেটা মানসিক ভারসাম্য হয়েও পার পেলো না। এই ব্যাপারে আপনারা কি কিছু বলতে পারেন?