শেষ চিঠি (হার্ডকভার)
একজন মায়ের কাছে তার সন্তান কতটুকু আদরের তা কেবল একজন সেই বলতে পারে। একজন মা বলতে পারে যে প্রচন্ড কষ্ট, ত্যাগ আর ধৈর্য্যের বিনিময়ে সন্তান তার নিজের শরীরে ধারন করে, সেই সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসে আর লালন-পালন করে যোগ্য সন্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে থাকে। আমরা সেই সন্তান হারা মায়ের কষ্ট কতটুকু কেউ কি কোনদিন বুঝতে চেয়েছি? একজন মা জানে তার কাছে সন্তান হারানোর বেদনা কতটা গভীর, যন্ত্রণাদায়ক। সেই সময়টা তার কাছে কতটা নির্মম হয়।দুনিয়াতে মা-সন্তানের সম্পর্ক সবচেয়ে মধুরতম এবং শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক। আর সেই সন্তান যদি হয় মার প্রথম সন্তান তবে তার প্রতি ভালবাসার তো শেষ নেই। সন্তানের একটুখানি কান্না, অভিমান, কষ্ট একজন মায়ের জন্য কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা শুধু একজন মা বলতে পারে। বর্তমান কালে আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। যার ঘাটতি আমি মনে করি এখনো আছে, এবং থাকবে। আমরা সবাই জানি দূরারোগ্য কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি আমাদেরকে ফেলে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।তা যে আমাদের কাছে কতটা কষ্টের আমি একজন হুমায়ূন ভক্ত হিসেবেই বলতে পারি। আর আপনি একবার ভাবুন তো মা আয়েশা ফয়েজের কাছে কেমন লেগেছে? তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় যখন তার প্রিয় পুত্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এই বইয়ে মা আয়েশা ফয়েজ তার আত্নার কথাগুলোই তুলে ধরেছেন। সন্তানের মৃত্যুর পর আশেপাশের মানুষগুলো যখন পাল্টে যায়, তাদের ব্যবহার সবকিছু একটু একটু করে বলে গেছেন, তার লেখনির মাধ্যমে। সন্তানের মৃত্যুর সময় কাছে থাকতে না পারা, তার শেষ নিদ্রার স্থানটিকে নিজ হাতে স্পর্শ না করতে পারার কষ্টটা তার বুকে কতটুকু বেজেছিল আজ আমরা শুধু তা আন্দাজ করতে পারি।