শেষ বিকেলের মেয়ে (হার্ডকভার)
বইয়ের নাম : শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক : জহির রায়হান শেষ বিকেলের মেয়ে কে? নাহার, জাহানারা, সালমা নাকি শিউলি? এই রহস্য জানার জন্য আস্তে আস্তে একপাতা একপাতা করে এগিয়ে যাই। অবশেষে বুজতে পারলাম নাহার হচ্ছে শেষ বিকেলের মেয়ে। শেষ পৃষ্ঠা না পড়া পর্যন্ত বুজার অবকাশ নেই যে এই উপন্যাসের আসল চরিত্র কে। কাসেদ পেশায় কেরানি। মা এবং খালাতো বোন নিয়ে তাদের পরিবার। জাহানারা ছিলো কাসেদের ভালোবাসার মানুষ। জাহানারা কে সে সব সময় তার বউ হিসেবে চাইতো। জাহানারার জন্মদিনে শিউলির সাথে পরিচয় হয় কাসেদের। শিউলি কাসেদের খুব কাছে আসতে চাইতো। শিউলি চাইতো কাসেদ তাঁর ভালো বন্ধু হোক। শিউলি আর কাসেদের এই মিলামেশা দেখে জাহানারা ভেবেছিলো তাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক আছে । শিউলির এই ভুল ভাঙ্গানোর জন্য কাসেদ জাহানারার বাড়িতে গেলে তাকে অপমানিত হতে হয়। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে শিউলিকে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শিউলিও তাকে প্রত্যাখ্যান করে। কাসেদ ভাবলো শিউলি আর জাহানারা দুইজন নয়,এক। একি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাঁর কিছুদিন পর কাসেদের মা মারা যায়। নাহারের ও বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। নাহারকে বিয়ে দেয়ার জন্য কাসেদের খালু নাহারকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। একলা ঘরে কাসেদের দিন গুলো খুব খারাপভাবে কাটতে লাগলো। হঠাৎ একদিন দরজায় নক করার শব্দ পেয়ে কাসেদ দরজা খুলে দেখে নাহার দাড়িয়ে আছে। কাসেদ খুব অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞাস করলো কাল তার বিয়ে সে আজকে এখানে কেনো? নাহার উত্তর দেয় বিয়ে আমার অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে। কাসেদ প্রশ্ন করে কার সাথে? নাহার বলে যার সাথে হওয়ার কথা ছিলো তার কাছেই ফিরে এসেছি।
শেষ বিকেলের মেয়ে বইটি লিখিছেন জহির রায়হান। বইটি অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।জহির রায়হানের লেখা প্রথম উপন্যাস "শেষ বিকেলের মেয়ে"। প্রেমের উপাখ্যান হিসেবে উপন্যাস্টির জুড়ি নেই। পুরাে গল্প জুড়ে নায়কের মানসিক দোদুল্যমান ভাবটা খুবই বাস্তবিক এবং সবশেষে প্রেম উপাখ্যানের যে পরিণতি তা পাঠক মাত্রেই পুলােকিত। করে। তবে এই উপন্যাসট দিয়ে লেখকের যে ঔপন্যাসিক হিসেবে হাতেখড়ি তা লিখনীতে একটু বােঝা যায়। জহির রায়হান প্রসঙ্গের এবং মানবিক আবেদনগুলাের বিশ্লেষণে যে সিদ্ধহস্ত তা উক্ত উপন্যাসেও বােঝা যায়। এক কথায় উপন্যাসটি অসাধারণ। একজন। পাঠক কোন সাহিত্য পড়বার পর ঐ সাহিত্যের যে মৌলিক চিন্তাধারা নিয়ে যদি মনের ভেতর অনুরণন করে তবেই লেখকের। | সার্থকতা, আর এ ক্ষেত্রে জহির রায়হান পূর্ণ সার্থক।
আবেগ এবং ভালোবাসায় পূর্ণ প্রেমের এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কাসেদ নামে এক যুবক, পেশায় যে কেরানী। বাড়িতে বৃদ্ধ মা আর নাহার নামে দুঃসম্পর্কের এক বোন। কাসেদ মনে মনে ভালোবাসে জাহানারা নামের বড়লোকের মেয়েকে। জাহানারাও কাসেদকে পছন্দ করে। একদিন জাহানারার জন্মদিনে কাসেদের পরিচয় হয় জাহানারার কাজিন শিউলির সাথে। আধুনিকমনা এই মেয়েটি নানা ছলা কলায় একসময় কাসেদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এভাবেই চলতে থাকে ত্রিভূজ প্রেম কিংবা বন্ধুত্বের গল্প! কিন্তু গল্পটা আর ত্রিভূজ থাকেনা যখন কাসেদের ছোট বেলার সাথী বিবাহিত সালমা ঘর সংসার ফেলে কাসেদকে তাকে নিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে বলে। ভাললাগা-ভালবাসা-প্রেম-প্রত্যাখ্যান এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী। গল্পে শেষ বিকেলের মেয়েটি কে? কে কাসেদকে সত্যিকার ভালোবাসে এবং শেষ পর্যন্ত কাসেদের জীবনে আসে সে জানতে পড়ুন জহির রায়হানের অসাধারণ এই উপন্যাসটি। উপন্যাসটি আপনাকে বিমোহিত করবে!