তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর লেখায় বিশেষভাবে পাওয়া যায়। বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বােষ্টম, বাউরি, ডােম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছােট বা বড় যে ধরনের মানুষই হােক না কেন, তারাশঙ্কর তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাঁর লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তাঁর অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম-জীবনের ভাঙনের কথা, নগর-জীবনের বিকাশের কথা। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।
হাসান আজিজুল হক
জন্ম : ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯। গ্রাম, বর্ধমান, পশ্চিমবাংলা। শিক্ষা : স্নাতকোত্তর, দর্শন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্র বিভাগে অধ্যাপনা শেষে তিনি অবসর নিয়েছেন। ছাত্রজীবনে লেখালেখির শুরু। ১৯৬০ সাল থেকে লেখক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সক্রিয় সাহিত্যচর্চার আরম্ভ । আজ তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক। বাংলাদেশের উল্লেখযােগ্য সব সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদকের অধিকারী তিনি। তার গল্প ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, রুশ ও চেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
লেখকের অন্যান্য গ্রন্থ
গল্প : সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য, আত্মজা ও একটি করবী গাছ, জীবন ঘষে আগুন, নামহীন গােত্রহীন, পাতালে হাসপাতালে, আমরা অপেক্ষা করছি, রােদে যাবাে, মা-মেয়ের সংসার, নির্বাচিত গল্প, রাঢ়বঙ্গের গল্প।
উপন্যাস : আগুনপাখি, সাবিত্রী উপাখ্যান।
উপন্যাসিকা : বৃত্তায়ন, শিউলি, বিধবাদের কথা।
প্রবন্ধ : কথাসাহিত্যের কথকতা, অপ্রকাশের ভার, অতলের আঁধি, চালচিত্রের খুঁটিনাটি, ছড়ানাে ছিটানাে, চিত্তন-কণা।আত্মজীবনী : ফিরে যাই ফিরে আসি (১ম অংশ), উকি দিয়ে দিগন্ত (২য় অংশ)।