একটি চৌশিঙা মায়াবী চোখের হরিণ যখন ওক গাছের নিচে নিঃশব্দে এসে দাঁড়ালো, ঠিক তখনই শেহজাদী সকাল আর বিন্দুবাসিনী বুনো গাছের ঝোপ ঝালর ডিঙিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করল। নীল রঙের এক জোড়া ব্লু জে পাখি টিউ টিউ সুর তুলে ওদের মাথার ওপর দিয়ে ডানা ঝাপটে উড়াল দিল দূরের বনে। সূর্য সবেমাত্র উঁকি দিয়েছে পূর্বাকাশে। ভোরের সুষমা মাখা পবিত্র আসমানে নিরুদ্দেশ উড়ে বেড়াচ্ছে আলতা পরা মেঘের দল। রঙিন পাতার ফাঁক গেলে স্বর্ণালী আলোক রশ্মি তেরছা ভাবে নেমে এসে ছুঁয়ে দিয়েছে হরিণডাঙ্গার মাটি। গাছে গাছে ঘুম ভাঙ্গানিয়া পাখিরা বেলা শুরুর গান গাইছে। ঝরা পাতা ছড়ানো ফুরফুরে হলদে বনে এদিক সেদিক খোশ মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু কাঠবিড়ালি, ববক্যাট আর কায়োটি। অক্টোবর এলেই গোটা হরিণডাঙ্গা রঙে রঙে ছেয়ে যায়। আকাশ থেকে যৌবনের রঙিন মখমল নেমে এসে পৃথিবীকে নিবিড় আলিঙ্গন করে। প্রকৃতিতে এত লাবণ্য, এত লালিত্য বছরের অন্য কোনো সময় চোখে পড়ে না। যত দূর চোখ যায় শুধু চোখ ধাঁধানো রঙ! গাছের গায়ে গায়ে, ঝোপে ঝোপে রঙবাহারি আলপনা। চোশিঙা হরিণটি শেহজাদীর দিকে নিরীহ চোখ তুলে তাকালো। সেই মুহুর্তে কাঠের ঘরের জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দিল এরিক। ডেকে উঠল চিঁহি চিঁহি।
ওয়াসিকা নুযহাত
ওয়াসিকা নুযহাত। লেখালেখির সূত্রপাত খুব ছোটবেলায়|বন্দর নগরী চট্টগ্রাম পৈতৃক নিবাস হলেও ঢাকা শহরেই জন্ম। তার ব্যাতিক্রম ধর্মী আধুনিক ধারার উপন্যাস এর মাঝেই এ যুগের পাঠকদের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে| ২০১৬'র একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায় তার প্রথম উপন্যাস 'খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ' তার লেখা 'বৃষ্টিমহল' এবং 'মন সায়রের পাড়ে' এই দুটি উপন্যাস তরুণ পাঠক সমাজে সাড়া ফেলে দিয়েছে।লেখালেখিকে ভালোবাসেন নিজের সমস্তটা দিয়ে।আর এই ভালোবাসার কাজটিই করে যেতে চান আজীবন।