ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে পাঠকের অনেক কৌতুহল, কিন্তু তারা হয়তো সরাসরি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। শাওনের বয়ানে হুমায়ূন বইটিতে তাদের মনে জমে থাকা প্রশ্নগুলো আমাকে করেছেন শোয়েব সর্বনাম ।
উত্তর পেয়ে অনেকের হয়তো ভালো লাগবে, অনেকের মায়া লাগবে, অনেকের হয়তো রাগ হবে। তবে, আশা করছি, আপনাদের কৌতুহল কিছুটা মিটবে।
অনেকেই সাহসী প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সূক্ষ্মভাবেও সাহসী প্রশ্নের উত্তর বের করে আনা যায় তা অনেকেই হয়তো পারেন না। শোয়েব সর্বনাম যখন আমার সঙ্গে প্রথম বসলো, দেখা গেলো আমার যা যা বলার ছিল তারচেয়ে আমি বেশিই বলেছি। এক গল্প থেকে আরেকগল্পে যেতে যেতে মনে হয়েছে প্রশ্নগুলো নিয়ে একটি বইয়ের মতো হতে পারে। সেখান থেকেই এই বইটির পরিকল্পনা।
যে কথাগুলো ভেবেছিলাম কখনই কাউকে বলা হবে না, সেরকম অনেক কথাই এখানে বলা হয়ে গেছে, যা ইন্টারভিউয়ের শুরু আমি নিজেও ভাবিনি। আমি বুঝতে পারছিলাম না সব কথা বলা আমার ঠিক হয়েছে কিনা।
আমিও আসলে এমন সব কথা বলেছি যা আমার কাছ থেকে কেউ বের করে নিতে পারেনি।
শাওনের বয়ানে হুমায়ূন বইটির প্রথম সংস্করণ এত দ্রুত পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে ভাবতে পারিনি। হুমায়ূন আহমেদের পাঠকদের সাথে স্মৃতিগুলো ভাগ করে নিতে পারার এ অভিজ্ঞতাটা সত্যিই আনন্দের।
আমি আশা করছি, দ্বিতীয় সংস্ক্ররণটিও পাঠকরা একইভাবে গ্রহণ করবেন।