গোয়েন্দা কল্পকাহিনী বা সংক্ষেপে গোয়েন্দা কাহিনী হলো- অপরাধ কল্পকাহিনী ও রহস্য কল্পকাহিনীর একটি উপশাখা, যেখানে একজন শৌখিন বা পেশাদার গোয়েন্দা কোনো অপরাধ বা খুনের তদন্ত করেন।
এর কাহিনি সাধারণত রহস্যপূর্ণ হয় এবং প্রায়শই দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর।
পৃথিবীজুড়ে বহু বিখ্যাত বিখ্যাত সাহিত্যের মাঝে গোয়েন্দা কাহিনীর একটা নিজস্বতা রয়েছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে গোয়েন্দা কাহিনি সবার উপরে। এ গল্পগুলো মানুষকে যেমন আনন্দ দেয় তেমনই বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ সাধন করতে সাহায্য করে।
ডিটেকটিভ গল্পের কথা তুললেই সর্ব প্রথমে মাথায় চলে আসে শার্লক হোমস্ এর কথা। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের সৃষ্ট চরিত্র শার্লক হোমস্ বিশ্বের সকল পাঠকদের কাছে পরিচিত। শার্লক হোমস্-কে নিয়ে লেখা শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্পগুলো একত্রে কোনো গ্রন্থ নেই- সেই অভাব পূরণের জন্যই বাছাই করা গল্পগুলো দিয়ে এই গ্রন্থ।
আমরা চাই আমাদের প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বই আলাদা সত্তা নিয়ে পাঠকের হাতে তুলে দিতে। যে বইটি পড়ে পাঠক উপকৃত হবে- বিকশিত হবে তাঁর মেধা, উন্নত হবে তাঁর মনোজগৎ
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল ১৮৫৯ সালের ২২ মে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা চার্লস অল্টামন্ট ডয়েল, মাতা মেরি। তারা দুজনেই ছিলেন আইরিশ ক্যাথােলিক খ্রিস্টান।
কোনান ডয়েল ১৮৭৬ থেকে ১৮৮১ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ মেডিকেল স্কুলে পড়াশুনা করেন। একই সঙ্গে এডিনবার্গের রয়েল বােটানিক গার্ডেনেও অধ্যয়নে নিয়ােজিত ছিলেন। অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি ছােট গল্প লেখা শুরু করেন। কোনান ডয়েলের প্রথম উপন্যাস ‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট’ প্রকাশিত হয় ১৮৮৭ সালে। প্রথমে নাম রাখা হয়েছিল A Traged Skein পরে নাম পরিবর্তন করে ‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট রাখা হয়। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের প্রথম অর্থাৎ ফার্স্ট নেম রাখার কথা ছিল ‘শেরিফোর্ড’। পরে সে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শার্লক।
কোনান ডয়েল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। একাধারে তিনি ছিলেন চিকিৎসক, রসায়নবিদ, উদ্ভিদবিজ্ঞানী, ফুটবলার, ক্রিকেটার, গলফার ইত্যাদি। তিনি ১৮৯৯ থেকে ১৯০৯ সালের মধ্যে দশটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তিনি একজন রহস্য উপন্যাসের কালজয়ী লেখক এবং শার্লক হােমস ও ডা. ওয়াটসন চরিত্রের স্রষ্টা। বছরের পর বছর ধরে তার রহস্য গল্প ও উপন্যাসগুলাে পাঠকদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তার গ্রন্থগুলাে ১০০টি দেশে ২৩টি ভাষায় প্রকাশ হয়েছে। তার শার্লক হােমস চরিত্রটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। এ কালজয়ী লেখক ১৯৩০ সালের ৭ জুলাই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান।