শাপমােচন এক সময় মানুষ প্রচুর বই পড়ত। তখন বই ছিল মানুষের বিনােদনের মাধ্যম। মানুষ বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেত। ট্রেনে বসে বসে মানুষ বই পড়ত। সে সময় দর্শনা থেকে ঢাকা আসার পথে আমিও পড়েছিলাম শাপমােচন বইটি। কোনটা নিউন পেপার আর কোনটা অফসেট পেপার সে সময় আমি বুঝতাম না। বই। পেলেই পড়তাম। এখন বুঝি, শাপমােচন বইটি ছিল নিউজ পেপার কাগজে ছাপা। | শাপমােচন বইটা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছিল। বইটা পড়তে পড়তে কখনও হেসেছি আবার আফসােসও হয়েছে কিছুটা। জীবনে কোন মাধুরীর ছােয়া না পাওয়ার আক্ষেপও বেড়েছে কিছুটা! আবার শেষ দিকে এসে না চাইলেও বুকটা হাহাকার করে উঠল, চোখের কোণায় জল জমে গেল। কিছু সম্পর্ককে নতুন করে চিনতে শিখলাম, নতুন করে ভালােবাসার এক অনিন্দ্য সুন্দর সংজ্ঞা পেলাম।
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
(৭ মার্চ, ১৯০৪ - ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৫) ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। এটি তার ছদ্মনাম। তার আসল নাম তারাপদ। তার বিখ্যাত উপন্যাস চিতা বহ্নিমান ও শাপমোচন। এই দুটি উপন্যাস তার পাঠক সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ১৯০৪ সালের ৭ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার নামে ২০০৭ সালে এই গ্রামের একটি পাড়ার নামকরণ করা হয় 'ফাল্গুনী পল্লি'। তিনি ছিলেন বঙ্গলক্ষী মাসিকপত্রের সম্পাদক। সেখান থেকেই তার সাহিত্য জীবন শুরু হয়।[১] তার রচিত অন্যতম এবং বহুপঠিত দুটি উপন্যাস চিতা বহ্নিমান ও শাপমোচন।[৩] ১৯৫৫ সালে শাপমোচন উপন্যাস অবলম্বনে কোলকাতার পরিচালক সুধীর মুখার্জি উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন জুটিকে নিয়ে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন