গ্রন্থে আলোচনা সাহিত্যে নিয়ে, কিন্তু প্রথাগত অর্থে তা সাহিত্য নয়। এতে সংস্কৃতির কথা আছে, আছে আদর্শের বিশ্লেষণ এবং সেই সঙ্গে রয়েছে ঐ রহস্যময়তারও উপস্থাপন যা কখনো শেষ হবার নয়। আলোচিত প্রতিটি চরিত্রিই নতুন হয়ে উঠেছে এবং হয়েছে জীবন্ত।আর কেবল চরিত্র নয়, নাট্যকারকেও আরো একবার জানবার সুযোগ করে দিয়েছেন গ্রন্থকার তাঁর এই অনবদ্য রচনায়।
শেকসপীয়রের নাটকে ছেলেরাই প্রধান, মেয়েদের তুলনায়। সেটাই স্বাভাবিক, বাস্তবতা ছিল ঐরকমই, আদির্শিক অধিপত্যও ছিল পুরুষেরই, যে অধিপত্য মেয়েরাও মেনে নিয়েছে এবং শিল্পী হিসাবে শেকসপীয়র যতই নৈর্ব্যত্তিক হোন না কেন, তিনিও পুরুষ মানুষই। ওই জগতে তাই মেয়েরা প্রধান হয় নি। হবার উপায় ছিল না। তবু ক্ষেত্রে বিশেষে মেয়েরা ছাড়িয়ে গেছে প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষকেও। যেখানে তাপ নয়, সেখানেও তারা আলো বটে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ জুন ১৯৩৬, বাড়ৈখালী, বিক্রমপুর) একজন প্রখ্যাত অধ্যাপক ও সাহিত্যিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক সম্মান (১৯৫৫) ও স্নাতকোত্তর (১৯৫৬) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (১৯৬৮) সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রফেসর এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ-গবেষণা, ছোটগল্প, উপন্যাস ও অনুবাদ, যেমন "অন্বৈষণ" (১৯৬৪), "শেষ নেই" (২০০৪), "এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব" (১৯৭২) এবং "হোমারের ওডেসি" (১৯৯০)। তিনি লেখক সংঘ পুরস্কার (১৯৭৫), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৬), একুশে পদক (১৯৯৬) সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।