বিখ্যাত বায়ােলজিস্ট ড. জিতেন রায়-এর হাতে শােভা পাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি পত্রিকা। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তিনি জানতে পারলেন দেশে একজন শাকাশী মানবের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার নাম শামছুদ্দিন। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সে ঘাস, লতা-পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করছে। সংবাদটি ড. জিতেনকে যতটা না অবাক করে তার চাইতে বেশি চিন্তিত করে তুলে। তিনি কোনােভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না প্রকৃতির এই অস্বাভাবিক নিয়মকে। তার প্রিয় এক ছাত্র শফিকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শাকাশী মানব শামছুদ্দিন। সে শামছুদ্দিনকে ড. জিতেনের বাসায় নিয়ে আসে। ড. জিতেনকে অনুরােধ জানায় এ রহস্য উন্মােচনের জন্য। শত ব্যস্ততার মাঝেও ড. জিতেন রায় শেষ পর্যন্ত শাকাশী মানবের রহস্য উন্মােচনে নেমে পড়েন। ঘটনার সূত্র ধরে তিনি অবস্থান নেন এদেশের একটি বিভাগীয় শহরে। নিরাময় হাসপাতালের কর্ণধার ডা. মল্লিকের সাথে দেখা করার জন্য তিনি মরিয়া। কিন্তু কিছুতেই ডা. মল্লিক তাকে দেখা করার সুযােগ দিচ্ছিল না। ড. মল্লিকের কর্মকাণ্ডে তার সন্দেহ গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। তিনি বুঝতে পারেন প্রকৃতির সুন্দর স্বাভাবিক নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সে মানবকুলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ড. জিতেন রায় যেন অসহায়। তবুও তিনি ধূর্ত ও ধ্বংসাত্মক মানবিকতার মানুষ ডা. মল্লিকের পিছু লেগে থাকেন। তার চাই প্রমাণ। ধূর্ত ও চতুর ড. মল্লিকের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে মানুষকে রক্ষা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ দরকার। প্রমাণ সংগ্রহ করতে হলে ড. জিতেন রায়কে মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হবে। ডা. জিতেন রায় কি পারবেন মৃত্যু ঝুঁকি নিতে। শাকাশী মানবের রহস্য উন্মােচন করে মানবকুলকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে।।
জিয়ন খান
জিয়ন খান পৈতৃক নিবাস কিশােরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায়। শৈশব ও কৈশােরের দিনগুলাে কাটিয়েছেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। এরপর থিতু হয়েছেন ময়মনসিংহ শহরে। তিনি কিশােরগঞ্জের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি পাশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ময়মনসিংহের আনন্দ মােহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের উপর বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশা হিসেবে নিয়েছেন কলেজের শিক্ষকতাকে। ময়মনসিংহ শহরে একটি বেসরকারি কলেজে কর্মরত আছেন। লেখালেখি তার নেশা। ইতােপূর্বে দৈনিক সমকাল, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ডেসটিনি-সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তার অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৯ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস। এরপর থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। প্রশংসা কুড়িয়েছেন, পেয়েছেন অগণিত পাঠকের ভালােবাসা। সকলের সহযােগিতা থাকলে এগিয়ে যেতে চান অনেক দূর। স্বপ্ন দেখেন নতুন নতুন সৃষ্টির মাঝে বেঁচে থাকতে।