ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা হুমায়ূন আহমেদ এ দেশের একজন জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত সাহিত্যিক।তার লেখনী অসম্ভব রসঘন, সংবেদনশীল ও মানবিক।জীবনের সামান্য একটি ঘটনা, একটা বিশেষ মহুর্তও তার অসামান্য লেখনীতে অসাধারণ হয়ে উঠতো।তার সৃষ্ট চরিত্রসমূহ সব সময় তৃষ্ণাকাতর। যে তৃষ্ণা জীবনকে কাছে পাওয়ার তৃষ্ণা।টিভি নাটকে তিনি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন।বাংলাদেশে কোনো নাট্যকারের নাটক নিয়ে বিক্ষোভ হতে দেখা যায়নি।ভাবা যায় দর্শকদের কীভাবে তিনি নাড়া দিতে পেরেছিলেন।হুমায়ূন আহমেদ মানেই কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য, হোক উপন্যাস অথবা নাটক কিংবা চলচ্চিত্র। আর এই বৈশিষ্ট্যের মধ্য দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়াই ছিল তার প্রধান কাজ।কারণ আনন্দ-বিনোদনের ছাড়া বাঁচা যায় না।গত চার দশকে লেখক হিসেবে তার জনগ্রিয়তা আকাশ স্পর্শ করেছে।লেখক হিসেবে বরাবরই ঈষাণীয় অবস্থানে ছিলেন তিনি। কারণ বাংলাদেশে যখন লেখালেখি ক্ষেত্রে পাঠকশূন্যতা বিরাজ করছিল, তখন তিনি পাঠকদের বইমূখী করেন। তিনি সাহিত্যের জনপ্রিয় ধারার পথিকৃৎ।বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্রের পরে জনপ্রিয়তায় হুমায়ূন আহমেদের নাম উচ্চারিত হবে দীর্ঘদিন।