সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, যিনি ১৪ জুন ১৯৪৭ তারিখে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন ছিলেন রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক এবং মাতা মরিয়মন্নেসা বকুল। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ে লেখালেখির শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ "উৎস" ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। সেলিনা হোসেনের লেখালেখির কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য, এবং তিনি বাংলার লোক-পুরাণের চরিত্রসমূহকে নতুনভাবে তুলে এনেছেন। তাঁর উপন্যাসে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যে তাঁর পরিচিতি শুধু কথাসাহিত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবন্ধেও তিনি শক্তিশালী ও শাণিত গদ্য নির্মাণে দক্ষ।
মাসুদুজ্জামান
বিশ্বজিৎ ঘোষ
জন্ম ১৯৫৮ সালে, বরিশালে। ‘বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার রূপায়ণ’ বিষয়ে গবেষণার জন্য ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ। ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ। বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বিশ্বজিৎ ঘোষ মূলত প্রাবন্ধিক-গবেষক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : বাংলাদেশের সাহিত্য (১৯৯১), নজরুলমানস ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (১৯৯৩), আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ (১৯৯৪), বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার রূপায়ণ (১৯৯৭) ইত্যাদি। ২০১১ সালে গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। এছাড়া ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলা একাডেমির ‘ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক’, ‘জীবনানন্দ দাশ সাহিত্যপদক’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আবদুর রব চৌধুরী স্বর্ণপদক’, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ‘মহাকবি মধুসূদন জাতীয় পদক’, ‘কবি নজরুল স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।