এটা অবশ্যই প্রবন্ধের বই নয়। প্রবন্ধ বললে যে গুরুগম্ভীর ব্যাপার ভাবনায় আসে এই বইয়ে তেমন কিছু নেই। পাঠককে ভাবাবে, এমন কোনো নতুন চিন্তাও নেই এই দুই মলাটে। সাধারণ মানুষের অতি সাধারণ কিছু ভাবনা অতি সরলভাবে লেখা হয়েছে। গণমাধ্যম নিয়ে আবোলতাবোল ভাবনা যেমন আছে, আছে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কিছু ক্ষোভের কথাও। আছে ক্রমবিচ্ছিন্নতার শহুরে সংস্কৃতি আর অলীক সাফল্যের পেছনে অর্থহীন ছুটে চলার গল্প। রাজনীবিদদের বিচ্যুতির কথা যেমন আছে, আছে পেশাজীবীদের অমানবিকতায় আক্ষেপ। খেলার মাঠ থেকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত- সব জায়গাতে সাংবাদিক প্রভাষ আমিনের এলেবেলে বিচরণ। এমন অপ্রয়োজনীয় একটি বই কেন প্রকাশ করতে হলো? যারা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চান, যাদের হাতে অঢেল সময় আছে, তারা বইটি পড়ে দেখতে পারেন। প্রভাষ আমিনের প্রথম বইটি পড়ে যদি ভালো লেগেই যায় দয়া করে বন্ধুদের বলুন। তবে ভালো না লাগার আশঙ্কাই বেশি। সেক্ষেত্রে আপনাদের সময় নষ্ট করার সকল দায় নেয়ার জন্য লেখক কান খুলে, পিঠে কুলো বেধে তৈরি আছেন। সো ডিকশনারি খুলে ভালো ভালো সব গালি বেছে আপনারাও তৈরি হয়ে যান। প্রয়োজনে পয়সা ফেরত দিতেও লেখক নীতিগতভাবে সম্মত। তবে সে সামর্থ্য নেই বলে আপাতত লেখকের কাছে টাকাটা পাওনা হিসেবেই ধরে নিতে পারেন।