" বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি আর ভালো বেতনের চাকুরি-ই জীবনের সফলতা নয়; বরং তোমার অস্তিত্ব দ্বারা কতজন মানুষের বিবেক জাগ্রত হলো সেটি-ই জীবনের স্বার্থকতা। "
সারাজীবন সমান্তরালে চলা পথিকের গল্প কেউ মনে রাখে না, বরং বন্ধুর পথে বার বার হোচট খেয়ে সফলতার মঞ্চে উঠে আসা গল্পগুলোই ইতিহাস হয়ে থাকে। জীবনে বলার মতো তেমন-ই একটা গল্প থাকা চাই। জীবনের একটি ব্যর্থতা হাজারটা সফলতার দরজা খুলে দেয়, যে বুঝে সে খুঁজে, আর যে খুঁজে সে পায়।
এক জন মানুষ জীবন পথে চলতে গিয়ে যে বিষয়গুলোতে হীনম্মন্যতায় ভুগে/বাধাগ্রস্ত হয় তা থেকে উত্তরণের সহজ গাইডলাইন এই বইটি। শিক্ষার্থীদের জন্যও এটি আদর্শ একটি বই হবে আশা রাখছি।
শিক্ষা জীবন কিভাবে অতিবাহিত করা উচিত, কোন কোন স্কিল ডেভেলপ করা প্রয়োজন, ডেইলি রুটিন কেমন হওয়া উচিত এসকল দিকগুলো বইটিতে সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি কার্যকর পড়াশোনা ও পরীক্ষার টেকনিক, স্মরণশক্তি বাড়ানোর কৌশল, হাতের লিখা সুন্দর করার ট্রিক্স নিয়ে রয়েছে আলাদা আলাদা পার্ট। বর্তমানকে নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে এবং বর্তমানেই আপনজনদের জন্য ছোট্ট কিছু করাতে রয়েছে আনন্দ- পরম সুখ। ছাত্রজীবনে উপার্জন অধিকাংশের জন্যই সময়ের প্রয়োজন। তাই ছাত্রজীবনে উপার্জনের ১২ টি উপায় বর্ননা করা হয়েছে এ বইটিতে।
সমালোচনাকারীর সমালোচনাকে তোয়াক্কা না করে নিজের পথে অটুট থেকে অধ্যবসায়কে সঙ্গী করে সামনে এগিয়ে যাওয়াতেই রয়েছে সফলতা। সকল আসক্তিকে বিদায় জানিয়ে মা বাবার দোয়া সাথে নিয়ে হতাশাকে হতাশ করে, ব্যর্থতাকে ব্যর্থ করে দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে স্বপ্নের পথে কিভাবে এগিয়ে চলতে হবে তা সাবলীলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এ বইটিতে।
একটি বই হয়তো তোমাকে ক্ষনিকের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে, কিন্তু তা ধরে রেখে কাজ করতে হবে তোমাকেই।
লেখক পরিচিতিঃ
আসিফ ইকবাল সুমন
যিনি অন্যকে অনুপ্রাণিত করার মধ্যেই নিজের অনুপ্রেরণা খুঁজে পান। জন্মগ্রহণ করেন রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলায়। বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। যার স্বপ্ন মা বাবার গর্বিত সন্তান হওয়া।