চৌদ্দ/পনেরো বছর বয়সের কিশোর সৌরভ। শখ বিজ্ঞানী হওয়া। লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে সে কম্পিউটারে গেম খেলে, ইণ্টারনেটে ব্রাউজ করে, মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে, কৃত্রিম গ্রহ-নক্ষত্র তৈরির চেষ্টা করে, মোবাইল ফোনের পুরাতন ব্যাটারি, প্লাস্টিকের ফ্যান আর ছোট মোটর দিয়ে ফ্যান তৈরি করে। সৃষ্টিশীল এসব কাজে অবমূল্যায়ন, মায়ের মাত্রাতিরিক্ত শাসন এবং বাবা-মা’র দাম্পত্য কলহের কারণে তার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর ঘটনাক্রমে বন্দী হয় পাচারকারী চক্রের হাতে।
মোবাইল ফোনে জয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় পিয়ালের। পিয়াল প্রেমের অভিনয় করে, জয়াকে প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। দু’জনের আশ্রয় হয় ছেলেধরার বন্দী শিবিরে। তারা দুজনে বুঝতে পারে ডাইনি মহিলা তাদের ভারতে পাচার করে দিবে, জয়ার আশ্রয় হবে কোনো পতিতালয়ে আর সৌরভের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে তার লাশ পড়ে থাকবে বেওয়ারিশ হয়ে। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক, দু’জনে মৃত্যুকূপ থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে।
একদিন তাদের নিয়ে ডাইনি মহিলা তাদের নিয়ে রওয়ানা হয় ঢাকা থেকে লালমনিরহাট দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে। তাদের বোতলের পানির সঙ্গে মেশানো হয় ঘুমের ঔষধ। সৌরভ বুঝতে পারে, সে জয়াকে পানি খেতে নিষেধ করে এবং নিজেও পানি খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা দু’জনে বাঁচার চেষ্টা করে, সুযোগ খোঁজে। বাস ফুড ভিলেজে এসে থামতেই সৌরভ চিৎকার দিয়ে উঠে। বাসের সব যাত্রী ডাইনি, মোখলেস আর তাদের ক্যাডারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
জিল্লুর রহমান
জিল্লুর রহমান ০১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ খ্রি. দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মৃত: ইউনুছ আলী, মাতা: মোছা. মরিয়ম নেছা। মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ধর্মপুর ইউ.সি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পাশাপাশি বিরল কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি স্কাই টাচ এ্যাপার্টমেন্ট, বেসরকারি সংস্থা কারিতাস এবং নটরডেম কলেজে দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
লেখালেখির অভ্যাস ছাত্রজীবন থেকেই, তাঁর লেখা প্রথম কবিতা দৈনিক তিস্তা পত্রিকায় তারপর দৈনিক উত্তর বাংলাসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।