সিক্রেটস অব জায়োনিজম : বিশ্বব্যাপী জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের ভেতর-বাহির (হার্ডকভার)
♦বুক রিভিউ♦ বইটির নাম "সিক্রেটস অব জায়োনিজম" লিখেছেন হেনরী ফোর্ড,বিশ্ববিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির মালিক। ভাষান্তরঃফুয়াদ আল আজাদ। মূল্যঃ৪০০£ পৃষ্ঠাঃ২৯৫ টি মূল বই টি ছিলো চার খণ্ডের, তথ্য উপাত্ত ঠিক রেখে পাঠকদের সুবিধার্থে বইটিকে এক খণ্ডে বাংলায় প্রকাশ করা হয়েছে। ইয়াহুদীদের কে হ্যায় করা এই বইটির উদ্দেশ্য নয়, বরং তাদের ষড়যন্ত্র মূলক পদক্ষেপ গুলোর মুখোশ উন্মোচন করাই উদ্দেশ্য। তবে হ্যাঁ এখনো অনেক ইয়াহুদী রয়েছেন যারা মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন,এবং কি অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্রকে তারা নিজেরাও মেনে নেয় নি। উক্ত বইটি প্রায় ৫৫ বছর নিষিদ্ধ ছিলো। লেখক হেনরি ফোর্ড তার নিজ পত্রিকায় নিয়মিত ইয়াহুদীদের নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু তার এই প্রচেষ্টা বেশি দিন অব্যাহত ছিলো না। সময়ের ব্যবধানে তার পত্রিকা প্রতিষ্ঠানকেই নিষিদ্ধ করে দিলো মার্কিন প্রশাসন। বই এর ভিতর যা আলোচনা করা হয়েছেঃ বই এর মোরগে ব্র্যাকেট এর ভিতর লেখা রয়েছে (বিশ্বব্যাপী জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের ভিতর বাহির) আসলে পুরো বইটাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। আর হ্যাঁ অনেক সময় এমন ষড়যন্ত্র কারী হওয়ার অনুপ্রেরণাও পাবেন। কিন্তু হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো কেননা এটা মানবতা বিরোধী। নিজেদের নির্ধারিত কোন ভূমি না থাকা স্বত্বেও এই জাতিটি একটি অদৃশ্য রাষ্ট্রের শাসনের অধীন ছিলো। বারংবার বিতাড়িত হওয়ার পর তারা তাদের শাসনব্যবস্থায় রাজার আবির্ভাব ঘটালেন।তাদের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ছিলো। যাকে বলা হতো "সেনহাড্রিন"। পূর্বে এর সদস্য সংখ্যা দশ জন থাকলেও এখন এটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এখনো এই পার্লামেন্ট সক্রিয় রয়েছে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইয়াহুদীদের মধ্য থেকে বাছাই করে নেওয়া হতো পার্লামেন্ট সদস্যদের কে। কে বা কারা এর সদস্য এই তথ্যটা আজ অব্দি প্রকাশ পায় নি। কিভাবে একটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায় সেই বিষয়ে ইয়াহুদীরা খুবই পারদর্শী। অর্থনীতির যাদু দেখিয়ে আজ অব্দি কত রাষ্ট্রকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে তার ইয়ত্তা নেই।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানি গুলোর উচ্চ আসন গুলো তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে। আর যারা গরীব তাদের কে তারা জ্যন্টালদের সাথে মিশিয়ে দেয়, এবং খুবই কৌশলে কার্য হাসিল করে নেয়। যেমন ধরেন জনমত তৈরি করা, কোন তথ্য আদান প্রদান করা। ১৬ টি কুকুরকে যখন এক পাত্রে খাবার দেওয়া হবে তারা সবাই একত্রে খাবার খাবে, কিন্তু যখন চার টি পাত্রে ভাগ করে দেওয়া হবে তখন ১৬ টি কুকুর চার ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। কোন একতাবদ্ধ জাতিকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিতে তারা ঠিক এটাই করে।। সময়ে সময়ে নানান ধরনের মত নিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরে, আর জ্যান্টালদের স্বভাব হচ্ছে তারা ব্যতিক্রম কে ভালোবাসে। আর সাথে সাথে তাদের মত গুলো জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। একটি জাতীর শক্তি কিভাবে ধ্বংস করা যায় এসবের মাস্টারমাইন্ড এরাই। বলা হয়ে থাকে তথ্য স্বর্ণের চেয়েও মুল্যবান। আর ইয়াহুদীরাই এটা ভালো বুঝতে পেরেছিলো, কারণ তাদের কাছে কোন রাষ্ট্রের এমন এমন তথ্য থাকতো যা কিনা সেই রাষ্ট্রের মোড়লদের কাছেও থাকতো না। "সেনহাড্রিন" এর সংসদ সদস্য গণ ছিলেন ভিন্ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ। কেউ সংসদ সদস্য, কেউ ছিলেন স্পাই এজেন্সি তে। কেউ ছিলেন সচিব ইত্যাদি। এরা যখন সেনহাড্রিন অধিবেশনে একত্রিত হতেন সবাই তার নিজ নিজ আসন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা তুলে ধরতেন যা সবাই জেনে যেতো। আসলে ইয়াহুদীদের কে সার্বিক বিবেচনায় সংঙ্গায়িত করতে চাইলে তাদের কে সফল ব্যবসায়ী, এবং চক্রান্তের গুরুজাতি বললে ভুল হবে না। তারা পুরো পৃথিবীর যেখানেই গিয়েছে সেখানেই অর্থনীতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে এবং স্থানীয়দের মাঝে বিরোধের বীজ বপন করে এসেছে। পুরাতন পণ্য কাজে লাগিয়ে কিভাবে অর্থ হাতানো যায়,সমুদ্রের নীচে অভিজান চালিয়ে কিভাবে সম্পদ লাভ করা যায় এগুলো তাদেরই উদ্ভাবন। তথ্য এবং অর্থই তাদের এগিয়ে যাবার অন্যতম কারণ। দুদেশের ভিতর অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে উভয়কে অধিক সুধে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া তাদের হাত ধরেই এসেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে মুসলিমরা যেমন বিশ্বাস করে ইসা (আ) পৃথিবীতে আসবে ঠিক তারাও বিশ্বাস করে মসীহ আসবেন তাদের শাসক হিসেবে। কিন্তু বাইবেলে তাদের মসীহকে এন্টি-ক্রাইস্ট এবং ইসলামে বলা হয়েছে দাজ্জাল। তবে সবচেয়ে কৌতুহল জেগেছিলো আমার এই বিষয়ে যে, গুটি কয়েক ইয়াহুদী কিভাবে পুরো পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন নেওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু উত্তর টা একেবারেই সহজ। তা হলো তারা পুরো পৃথিবী ব্যাপী তাদের আদর্শের হেন্ডেলার তৈরী করে। যারা নিজ নিজ ধর্মে থেকেও ইয়াহুদীদেরই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে থাকে। বইটি অনেক তথ্যবহুল,গুরিত্বহীন টপিক খুঁজে পাওয়া বিরল। বইএর তুলনায় রিভিউটা অনেক ছোট্ট। বইটির ধারাবাহিকতা আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে। বইটি পড়ার পর অনেক কিছু স্পষ্ট হয়েছে আমার, যেমন কিছু অবিশ্বাস বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। কিছু সন্দিহান সত্যকে সত্য মনে হয়েছে। পড়ে দেখতে পারেন,ষড়যন্ত্রের ব্যাখ্যা পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেলেও পড়াশেষ করে বলতেই পারবেন, না বইটা খারাপ ছিলো না। যাইহোক বইটা পড়ার পর ছোট্ট একটা উপলব্ধি হয়েছে আমার তা হলো "জায়োনিস্ট ইয়াহুদীরা গোটা মানব জাতির শত্রু"। আর হ্যাঁ সর্বশেষ একটা প্রশ্ন রেখে যেতে চাই, বইটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই কেন গার্ডিয়ান পাবলিকেশনের এমডি নুর মুহাম্মাদ ভাই গ্রেফতার হলেন? অনেকের হাসি পেতে পারে এমন প্রশ্নে কিন্তু বিশ্বাস করুন এই বইটি পড়ার পর আপনার মনে এমন বিষয় গুলো প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। বইটি অবশ্যই অবশ্যই পড়ার অনুরোধ রইলো। ইনশা আল্লাহ
পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিল ঘটনার পিছনে যে অদৃশ্য শক্তির হাত রয়েছে যা উম্মুক্ত করা হয়েছে এই বইতে। অবশ্যই ইহুদিদের ষড়যত্র প্রকাশ করা হয়েছ এই বইতে। সব থেকে ভালো লেগেছে এই বষয়টি তা হলো আলাদা ভাবে টীকা আকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা বইটিকে করে তুলেছে আরো সহজবোধ্য। বিভিন্ন আন্দলন, মতবান, বিপ্লব এর পিছনে কারা থাকে কারা ফল ভোগ করে তা জানা যায়। দয়া করে পঠকরা বইটি পরার সময় ডাইরেক্ট সবকিছু বিশ্বাস না করে ব্রেন খাটিয়ে চিন্তা করে পরবেন, লেখক যা দাবি করেছে তা হতে পারে কি না, যে যুক্তি দেখালো তাতে তা প্রমাণ হয় কিনা। সত্যি অসাধারন একটি বই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড। কোম্পানি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি তো চক্ষু চড়কগাছ! এ কী! ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে পৃথিবীকে! ফোর্ড ১৯২০ সালে শুরু করলেন নিজের পত্রিকা 'দ্য ডিয়ারবর্ন ইনডিপেন্ডেন্ট'। সেখানে ৯১ পর্বের কলামে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলেন ইহুদি জাল ও নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হলো। জায়োনিষ্ট মুখোশ উন্মোচিত হলে আমেরিকান ব্যবসায়ীর কলমে। ইতোমধ্যে ফোর্ড-এর কলামগুলো নিয়ে চার খণ্ডের বই তৈরি হলো; নাম- 'The International Jew'। প্রতিক্রিয়ায় ইহুদি লবি জবাব দিতে লাগল। আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানেই সব বই লাপাত্তা হলো। পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্প্রিতি নষ্টের উস্কানির অভিযোগ উঠল। ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হলো তার পত্রিকা এবং আলোচিত এই বই। কিন্তু চাইলেই কি সব বন্ধ করে দেওয়া যায়? আশির দশকে আবার প্রকাশিত হলো বইটি। দুনিয়াব্যাপী ২৩টি ভাষায় অনূদিত হলো। বিশ্বখ্যাত সেই বইটির বাংলা অনুবাদ 'সিক্রেটস অব জায়োনিজম'।
অসাধারন একটি বই তা বলার অপেক্ষা রাখে না । পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ঘটনার পিছনে যে অদৃশ্য শক্তির হাত রয়েছে যা উন্মুক্ত করা হয়েছে এই বইতে । অবশ্যই ইহুদিদের ষড়যন্ত্র প্রকাশ করা হয়েছে এই বইতে। সবথেকে ভালো লেগেছে যে বিষয়টি তা হল আলাদা ভাবে টীকা আকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা বইটিকে করে তুলেছে আরো সহজবোধ্য। বিভিন্ন আন্দোলন, মতবাদ , বিপ্লব এর পিছনে কারা থাকে কারা এর ফল ভোগ করে তা জানা যায় এই বইয়ে।
সিক্রেটস অব জায়োনিজম বইটির লেখক আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটর কোম্পানির মালিক হেনরি ফোর্ড। তৎকালীন বিশ্বে ইহুদিদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বইটি লিখেছেন। বইটি পড়ে একথা খুব পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় যে লেখক একজন ইহুদি বিদ্বেষী মানুষ ছিলেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের চতুরতা সম্পর্কে জানতে হলে এই বইটি আদর্শ।
হাজার বছরের পুরনো একটি জাতি, যারা নিজভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে যাযাবর ছিল দীর্ঘকাল, তারা কিভাবে আজকের দুনিয়ায় এত প্রতাপশালী হলো? কিভাবে তারা তাদের কথিত প্রতিশ্রুত ভূমি ফিরে পেল? আজ তাদের অন্যায় অবিচার প্রতিরোধে কোন জাতিরই এগিয়ে আসার সাহস নেই। কিভাবে তারা নিজেদের এ পর্যায়ে নিলো?বইটি পড়লেই জানা যাবে। তাদের সমাজ ব্যবস্থা কেমন?তারা অন্যদের ব্যাপারে কিভাবে চিন্তা করে। কিভাবে সংখ্যালঘু হয়েও সুবিধা আদায় করে সব দখল করে নেয়,এখানে আলোচিত হয়েছে। অর্থ-সম্পদের জন্য যে তারা কতটা মরিয়া বইটাতে তার কিছু নমুনা দেয়া আছে।বিনোদন ও প্রকাশনা জগতে তাদের ভূমিকা কি, সে সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া বিপ্লব, সরকার পতন ও মহাযুদ্ধে তাদের ভূমিকা, বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। খ্রিস্টানরা কিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক হলো,কিভাবে খ্রিস্টান নারীদের পর্দা ছাড়িয়ে পন্য বানানো হলো, সে বিষয়েও জানা যাবে। জায়োনবাদী ইহুদিরা কিভাবে আধুনিক আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলো ও তা নিয়ন্ত্রণ করছে, তা নিয়ে আলোচনা আছে। তাদের মাস্টারমাইন্ড রাবাইদের বিভিন্ন প্রটোকল বইটিতে আলোচিত হয়েছে। পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার জন্য মানবজাতিকে নিয়ে তাদের বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা ও তা হাসিলের জন্য কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।সর্বপরি,তাদের মসীহর (দজ্জাল) জন্য তারা প্রস্তুত হচ্ছে ও বর্তমান বিশ্বকে অনেকটাই প্রস্তুত করেছে।