হ্যারি সেলডন গ্যালাক্সির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদ। মানবজাতিকে রক্ষার জন্য আজীবন সাধনার মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সাইকোহিস্টোরির মতাে অতি উন্নত এক বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞানের সাহায্যে তিনি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রথম গ্যালাক্টিক এম্পায়ার। এই ধ্বংস ঠেকানাের কোনাে উপায় নেই। তারপরে গ্যালাক্সিতে শুরু হবে ত্রিশ হাজার বছরব্যাপী অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হানাহানি এম্পায়ারের পতন ঠেকানাে না গেলেও ত্রিশ হাজার বছরের অরাজকতা কমিয়ে মাত্র এক হাজার বছরের মধ্যে তিনি প্রথমটার চেয়ে আরাে শক্তিশালী এবং সুসংহত নতুন এম্পায়ার গড়ে তুলতে পারবেন। পরিকল্পনা মােতাবেক সম্পূর্ণ নতুন এক গ্রহে তৈরি করা বিজ্ঞানীদের নতুন এই কলােনিই পরিচিত হয়ে উঠে ফাউণ্ডেশন নামে। প্রথম গ্যালাক্টিক এম্পায়ারের চূড়ান্ত পতন ঘটে ফাউণ্ডেশনের হাতে। তারপর গ্যালাক্সিতে ফাউণ্ডেশনের রাজ্য বিস্তার চলতে থাকে। অব্যাহত গতিতে। কিন্তু আচমকা মিউল নামের এক মিউট্যান্ট শক্তির আবির্ভাবে তার মেন্টাল পাওয়ারের কাছে ফাউণ্ডেশনও পরাজিত হয়। যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র উপায় সেকেণ্ড ফাউণ্ডেশন। কারণ একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে সেলডন মেন্টাল সাইন্টিস্টদের নিয়ে আরেকটা ফাউণ্ডেশন তৈরি করে গেছেন মিউল প্রথম থেকেই সেকেণ্ড ফাউণ্ডেশন খুঁজছে, নইলে তার গ্যালাক্সি দখল সম্পূর্ণ হবে না। কিন্তু কোথায় সেকেণ্ড ফাউণ্ডেশন?
নাজমুছ ছাকিব
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।