১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে হার্বার্ট জর্জ ওয়েল্স বা এইচ. জি. ওয়েস্রে জন্ম। জন্মস্থান, কেন্ট কাউন্টির ব্রসলি। ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি কমার্শিয়াল একাডেমিতে পড়ালেখা করেছেন। বুক কিপিংয়ের উপর সার্টিফিকেট পান। অত্যন্ত মেধার কারণে ১৮৮০ সালে ছাত্র অবস্থায় সমারসেটের স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৮৮৪ থেকে ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত লন্ডন রয়েল কলেজ অব সায়েন্সে পড়ালেখা করেন। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীন্ন হতে পারেননি। ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৮ সাল পর্যন্ত রেক্সহ্যান্সের হোল্ট একাডেমিতে আর ১৮৮৮ থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত লন্ডনের হেসলি হাউস স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৮৯০ সালে তিনি বিএসসিতে ডিগ্রি লাভ করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে। বিয়ে করেছেন দুটি। ১৮৯১ সালে প্রথম বিয়ে হয় চাচাতো বোন ইসাবেল মেরি ওয়েস্ত্রে সাথে। ১৮৯৫ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯২৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অ্যামি ক্যাথরিন রবিন্সকে। এই ঘরে তার দুই পুত্র জন্ম নেয় ।
পুরোপুরিভাবে লেখক হন ১৮৯৩ সালে। ১৯৩৬ সালে এইচ. জি. ওয়েল্স্ ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ডক্টরেট অব লিটারেচার পান। ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট এইচ. জি. ওয়েল্স্ মারা যান। এইচ. জি. ওয়েল্স্ পাঠ্যপুস্তক লেখেন স্কুলে শিক্ষকতা করার সময়। ১৮৯০ সালে প্রথম সায়েন্স ফিকশান গল্প লেখেন। তাঁর প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয় ১৮৯৫ সালে। তিনি সায়েন্স ফিকশান ছাড়া ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান ও বিবিধ বিষয়ে লিখেছেন। সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস লিখেছেন ৩৮টির মতো। ছোট গল্পের সংকলন আছে মোট ৬টি। তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর ভেতর দ্য আয়ল্যান্ড অব ডক্টর মোরো, দ্য ইনভিজিবল ম্যান, দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ান্ডর্স, ফার্স্ট ম্যাথ ইন দ্য মুন ।
তাঁর লেখা সবচাইতে বিখ্যাত উপন্যাসিকা হল দ্য টাইম মেশিন। টাইম ট্রাভেল নিয়ে যতগুলো উপন্যাস বা গল্প লেখা হয়েছে সবগুলো আদর্শ হল এই উপন্যাসিকাটি। সায়েন্স ফিকশানগুলো প্রথম যুগের লেখা হলেও তাঁর শ্রেষ্ঠ কাজ।
বইটিতে তাঁর গল্পের পাশাপাশি সবচাইতে বিখ্যাত উপন্যাসিকা দ্য টাইম মেশিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সায়েন্স ফিকশান সমগ্রের এটি সূচনা পর্ব। ভবিষ্যতে তাঁর অন্যান্য সায়েন্স ফিকশান গল্প, উপন্যাসগুলো অনুবাদ করে বর্ধিত আকারে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো ।
অবশেষে বইটি আলোর মুখ দেখার পেছনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এইচ. জি. ওয়েলস
এইচ. জি. ওয়েলস্ (হারবার্ট জর্জ ওয়েলস্) ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ করেন বিপুল জনপ্রিয়তা। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য টাইম মেশিন সাড়া ফেলে দিয়েছিল চারদিকে। এইচ. জি. ওয়েলস কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের আরেক দিকপাল জুলভার্নের মতাে সায়েন্স ফ্যান্টাসী রচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ছিলেন না। তিনি তাঁর দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসে এ জাতীয় যন্ত্র তৈরির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা জুলভার্নের কোনাে রচনাতেই পাওয়া যায় না। জীবনের প্রথমলগ্নে বেশ কিছু নারীঘটিত কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই খ্যাতিমান কল্পবিজ্ঞান লেখক। তাঁর লেখা দ্য টাইম মেশিন ছাড়াও আরাে কয়েকটি চমকপ্রদ উপন্যাস হলাে 'দ্য ইনভিজিবল ম্যান, ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডক্টর মােরাে, ‘গ্রহযুদ্ধ, স্লিপার অ্যাওয়াকস, ‘দ্য লর্ড অব ডায়নামাস,' 'ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন' ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে বেশ কয়টি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান এই প্রবাদপ্রতিম কল্পবিজ্ঞান লেখক। অনুবাদক : সালেহা চৌধুরীর এবারের অনুবাদ এইচ. জি. ওয়েলসের অদৃশ্য মানব। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা পঞ্চাশের মতাে। অনুবাদ করেছেন দশটি গ্রন্থ। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, সব বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে। লন্ডনে স্কুলে পড়াতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। সৃষ্টিশীল সাতিহ্যিক বলে। অনুবাদেও এই সৃষ্টিশীলতা বর্তমান।