ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার বিষয়টি মানুষ প্রতিনিয়ত অন্যের কাছ থেকে মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়, তাঁরা স্বাস্থ্যের এই উপদেশগুলো ধারণ করে মূলত বই, পত্র-পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন থেকে। কেন আপনি বারবার অন্যের দ্বারস্থ হবেন? নিজেই জেনে নিতে পারেন সাতিটি রোগ সম্পর্কে দরকারি বিষয়গুলি। অ্যাজমা-অ্যালার্জি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, চোখের অসুখ, লিভার রোগ এবং নিরাপদ মাতৃত্ব এই সাতটি স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে এই বই -সাত অসুখের সাতকাহন। বইটি পাঠককে এই সাতটি রোগের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে সচেতন করে তুলবে এবং অন্যকে সচেতন করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।
জন্ম ১ ডিসেম্বর ১৯৬৩, বরিশাল জেলার মুলাদী থানার তেরচর গ্রামে। পড়াশুনা করেছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় । ১৯৭৯ সালে কিশােরগঞ্জ জেলার ভৈরব কে. বি. হাই স্কুল থেকে। এসএসসি এবং ১৯৮১ সালে ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে। এইচএসসি পাশ করার পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাক-কান-গলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চতর গবেষণার কাজ করছেন।
'৮০-র দশকের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ সজল আশফাকের লেখালেখি জীবনের শুরু ছড়া ও কবিতা দিয়েই । তাঁর প্রথম ছড়াগ্রন্থ ‘লেজটি তুলে দৌড় প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। প্রথম কবিতার প্রকাশনা ‘প্রেমাঙ্গ পাখি’ বের হয় ১৯৯৮ সালে। ছড়া-কবিতার পাশাপাশি নিয়মিত সায়েন্স ফিকশনও লিখছেন। তাঁর প্রথম সায়েন্স ফিকশন গ্রন্থ ছায়াজীব প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। তার আগে ১৯৮৭ ও '৮৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রবর্তিত পাবলিক লাইব্রেরি আয়ােজিত একুশে সাহিত্য পুরস্কারে কবিতায় শীর্ষস্থান অধিকার করেন। '৯০-র দশক থেকেই স্বাস্থ্যবিষয়ক ফিচার ও নিবন্ধ রচনায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে আসছেন। দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় এ পর্যন্ত অসংখ্য লেখা ছাপা হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর দৈনিক জনকণ্ঠের স্বাস্থ্য বিষয়ক পাতার সম্পাদনাসহ ‘মিনি প্রেসক্রিপশন’ ও ‘ভুল সবই ভুল’ কলাম ও মেডিক্যাল রিপাের্ট লিখেছেন।
বর্তমানে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সহযােগী অধ্যাপক পদে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি মূলত স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখালেখি, টেলিভিশনে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান ও চ্যানেল। আইতে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত আছেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন আনােয়ারা-নুর পুরস্কার। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫।