সারেং বৌ উপন্যাসে বাংলাদেশের সমুদ্র-উপকূলবর্তী জনপদের বিশ্বস্ত চিত্র আছে।কদম সারেং সৎ বলে সহকর্মীদের মত বাড়ি ও দালান করতে পারে নি।স্ত্রী নবিতুনকে নিয়ে আর্থিক কষ্টের মধ্যেও সে সুখে থাকে।প্রকৃতির বিরুদ্ধতায় সারেং যখন দীর্ঘদিন নিখোঁজ,সেই সময় যুবতী নবিতুনের উপর দারিদ্র্য ও লোলুপ সমাজপতিদের লোলুপতা নেমে আসে।দাম্পত্য আদর্শনিষ্ঠ বলে নবিতুন সবকিছুকে পরাজিত করতে পারে।সারেং কদম যখন ফিরে আসে তখন সাগরের বুকে সে তখন চরম মাত্রায় পিপাসিত।এ অবস্থায় ধর্মীয় বিধি লংঘন করে নবিতুন স্তন্যদুগ্ধ পান করিয়ে স্বামীকে বাঁচতে সাহায্য করে।এই উপন্যাসে সব সংস্কার তুচ্ছ করে মানুষকে জয়ী দেখানো হয়েছে।
শহীদুল্লা কায়সার
শহীদুল্লা কায়সার জন্ম ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে। পিতা: মাওলানা মােহাম্মদ হাবিবুল্লা, মাতা: সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হলেও রাজনৈতিক কারনে অসমাপ্ত। পেশায় সাংবাদিক। সক্রিয় ছিলেন বামপন্থী রাজনীতিতে। একাধিকবার কারাবরণের সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। তাঁর উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি ‘সংশপ্তক’ ‘রাজবন্দীর রােজনামচা’ ‘কৃষ্ণচূড়া মেঘ’ ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ ‘গল্পসমগ্র’ ‘উপন্যাসসমগ্র-১ ‘উপন্যাসসমগ্র-২' প্রভৃতি। সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩) ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯)। স্ত্রী পান্না কায়সার, কন্যা শমী কায়সার ও পুত্র অমিতাভ কায়সার। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের দ্বারা ধৃত হন এবং তাঁর খোঁজ আজও পাওয়া যায় নি।