সামান্য দেখার অন্ধকারে’ সেই বিশেষ সময়ের কবিতা, যখন মানুষ বিস্মৃত হয় যে সে ‘মানুষ’। দীর্ঘ কবিতার এ বই বিপন্ন বাস্তবতার এক অনুপম মহাবয়ান, বেদনার রক্তিম চিহ্নমাখা। যে মুহূর্তে ‘আমার জিম্মায় নেই আমার শরীর’, সেই অনিঃশেষ শূন্যতার প্রহরে লেখা এ কাব্যে আমাদের সমসাময়িক অনুষঙ্গ—যানজট, ভাঙচুর, জিডিপি গ্রোথ, উন্নয়ন, পতন-উত্থান, কাঁটাতার, প্রেয়সীর ‘দেহের ভেতর-গমনের আগে’ না-দেখা ভয়ের ডাক এবং হারিয়ে যাওয়া… এবং মৃত্যু—সব একসঙ্গে ঝংকার তোলে পাঠকের সামনে। এটি এক কল্পিত কিংবা বাস্তব গ্রাম হামদহের উপাখ্যানও। অদৃশ্য রক্তচক্ষু ও বিষণ্নতায় ঢাকা সময়ে যখন ‘মাঠভরা ধান কেনার ভেতর’ জেগে থাকে হাসির ছলনা আর ফুলের স্পর্শেও লুকানো থাকে নিপীড়ন, তখন কাচের দেয়ালের ওপাশে বসে তাকে ঠিক কতটা স্পর্শ করা যায়? এ কবিতা সেই স্পর্শের চারুময় প্রচেষ্টা।