১৮৬৬ সালে একজন মানুষ এমন একটি ডুবোজাহাজ বানালেন যা বিদ্যুৎ দিয়ে চলে, অক্সিজেন প্রবেশের জায়গা আছে, পানি জমানোর জায়গা আছে, এমন সব ইস্পাত দিয়ে তৈরি যা কখনোই ভাঙবে না, এমন সব অস্ত্র আছে যা দিয়ে অন্য সব জাহাজ কে তছনছ করে দিতে পারে। কি ভাবছেন সাবমেরিন এর কথা মনে পড়ছে? সেই সময়ে তো তা অসম্ভব, হ্যাঁ সেই অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন আমাদের সবার প্রিয় জুল ভার্ন। তাঁর কল্পকাহিনী পথ দেখিয়েছে আমাদের ভবিষ্যতের। বইটি বেশ অ্যাডভেঞ্চার ধর্মী। ৮-১৪ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের জন্য মহামূল্যবান বই। বইটিতে আপনি আমাদের জলভাগের চমৎকার ম্যাপ পাবেন, আগ্রহী করে তুলবে সমুদ্র ভ্রমণের। বইটি মূলত একজন প্রভাবশালীর বানানো ডুবোজাহাজ নিয়ে সাগরে তলদেশে চষে বেড়ানোর গল্প। কিন্তু সেই জাহাজটি এমন দ্রুত গতির, অন্যান্য জাহাজ তাকে ভুল করে খুব ভয়ঙ্কর প্রাণী ভাবতে থাকে। সেই অদ্ভুত প্রাণীকে ধরার অভিযানে বের হওয়া জাহাজে যুক্ত হয় একজন জীববিজ্ঞানী। ঘটনাক্রমে সেই অদ্ভুত প্রাণীর কাছে বন্দী হয়ে যায় সে। সেখান থেকেই চলে অ্যাডভেঞ্চারের শুরু।
জুল ভার্ন
জুল গাব্রিয়েল ভার্ন একজন ফরাসি লেখক ও অসামান্য সব বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনার জন্য বিখ্যাত। উড়োজাহাজ, রকেট কিংবা সাবমেরিনের বাস্তবিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের অনেক পূর্বেই তিনি মহাকাশ ভ্রমণ ও সমুদ্রের তলদেশে ভ্রমণের কল্পকাহিনী লিখেছিলেন। পৃথিবীতে আগাথা ক্রিস্টির পরেই তাঁর লেখা সবচেয়ে বেশী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।