ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মানবসভ্যতার শরুর যুগের মৌখিক সাহিত্য হিসেবেই রূপকথা আর উপকথার জন্ম। এইগুলোর জন্ম কত বছর আগে, তা খুঁজে বের করাও এখন কঠিন। এমনকি কে লিখেছেন এইসব রূপকথা তাঁর নামটিও জানা যায় না। কেউ একজন হয়তো একটি রূপকথা বানিয়েছেন, আরেকজনকে বলেছেন, তিনি আরেকজনকে বলেছেন- এইভাবে যুগযুগ ধরে রূপকথাগুলো একমুখ থেকে আরেকমুখে যেতে যেতে অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছি, কখনো নতুন রূপ ধারণ করেছে। কোনো কোনো রূপকথা এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে গেছে এবং সেই দেশ েথেকে বাদশা, পশু-পাখির চরিত্র ধারণ করে নতুনভাবে রূপ লাভ করেছে। মানুষ যখন আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি, তখন এই সব রূপকথাই মানুষকে আনন্দ দিত। মানুষ এই সব রূপকথাই মানুষকে আনন্দ দিত। মানুষ এই সব রূপকথাই মানুষকে আনন্দ দিত। মানুষ এই সব কথা ও কাহিনীর রূপক থেকে জীবনগড়ার শিক্ষা নিত। মানুষের জীবনে এইসব কাহিনীর প্রভাব ছিল বলেই, সে রূপকথাকে ভালবেসেছে এবং ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। একসময় শিক্ষিত মানুষ রূপকথাকে লিখে রাখার চেষ্টা করেছে। সেই লিখিত রূপও বদলে যাচ্ছে আনাড়ি লেখকের পাল্লায় পড়ে। শাহ্জাহান কিবরিয়ার ’রূপকথাসমগ্র’ এইসব অনাচার থেকে দেশ-বিদেশের রূপকথাকে রক্ষা করার আন্তরিক প্রয়াস।