ফ্রানজ কাফকা (৩ জুলাই, ১৮৮৩ – ৩ জুন, ১৯২৪) ছিলেন একজন উপন্যাস ও ছোটগল্পের লেখক, যিনি প্রভাবশালী লেখক হিসাবে সমালোচক কর্তৃক বিবেচিত। তৎকালীন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের প্রাহা (প্রাগ) শহরে (বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী) একটি মধ্যবিত্ত জার্মান-ইহুদী জার্মানভাষী মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কাফকাকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কাফকা অস্তিত্ববাদ তত্ত্বকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিলেন। তাঁর অধিকাংশ কাজগুলো যেমন- "ডি ভারভাণ্ডলাঙ্গ"(রুপান্তর),"ডের প্রোজেন্স"(পথানুসরণ), "ডাস স্কোলস"(দুর্গ) ইত্যাদির বিষয়বস্তু এবং আদর্শিক দিক মূলত বিচ্ছিনতাবোধ,শারীরিক এবং মানসিক নিষ্ঠুরতা,অভিবাবক-সন্তান সম্পর্কের সংঘর্ষ,আতঙ্কজনক উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যস্ত এমন চরিত্র, মানবজীবনে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপএবং রহস্যময় রূপান্তর - এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
কবীর চৌধুরী
কবীর চৌধুরী (জন্ম ১৯২৩)। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সুশীল সমাজের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। দেশ-বিদেশের নাটক ও কথাসাহিত্য, পাশ্চাত্যের চিত্রকলা ও চিত্রশিল্পী এবং স্বদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির বিষয় নিয়ে রচিত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দেড় শতাধিক । তিনি ইংরেজি, আমেরিকান, ফরাসি, জার্মান, রুশ ও বুলগেরিয়ানসহ বিভিন্ন ভাষায় অনেক শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম বাংলায় এবং বাংলা ভাষায় অনেক শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা এবং নাটক বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । কবীর চৌধুরী বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন । তাছাড়া তিনি বাংলা একাডেমীর প্রধান, কুদরাত-এ-ক্ষুদা শিক্ষা কমিশন তথা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য-সচিব এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সচিব রূপে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন । সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী, একুশে ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার এবং ভারতের উইলিয়াম কেরী পুরস্কারে ভূষিত হওয়া ছাড়াও বহু সংস্থা কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন । ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক পদে ব্রত হন ।। ৮৭ বছর বয়সেও তিনি ক্লান্তিহীনভাবে লিখে চলেছেন এবং প্রগতিবাদী সাংস্কৃতিক সামাজিক কাজে সক্রিয় রয়েছেন ।