রূপা (হার্ডকভার)
রাশেদ আমেরিকা থেকে অনেকদিন পর বাংলাদেশেে এসেছে।তার যেখানে যাওয়ার কথা সে সেখানে না গিয়ে ভুল করে সে রুপাদের বাসায় চলে এসেছে।রুপা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও তার বাবার সাথে কথা বলার পরে নিশ্চিত হয়েছে যে রাশেদ তাদের পরিচিত কেউ না,রাশেদ তাদের কাছে ভুলে চলে এসেছে।রুপাকে প্রথমে রাশেদ আপনি করে কথা বললেও পরে তুমি করে বলে এর ফলে রুপা রাশেদের উপর রাগ করে।রাশেদের খাওয়ার কথা রুপাদের বাসায় থাকলেও সে সেখান থেকে চলে আসে রুপা রাগ করায়।রাশেদএরও অনেক রাগ উঠে রুপার উপর।রাশেদ বের হয়ে দেখে বৃষ্টি পরছে তাও সে হাটতে থাকে কিন্তু রুপাদের বাড়িতে যায় না।সে বৃষ্টিতে ভিজে অনেক অসুস্থ হয়ে পরে।সে আশ্রয় নেয় এক দোকানে।রাশেদ সে দোকানে যায় কিছু খাওয়ার জন্য।সেখানে দোকানদার তার অবস্থা দেখে থেকে যেতে বলে তাদের সাথে।যদিও রাশেদের ইচ্ছা ছিল যে কোন হোটেলে উঠার।কিন্তু তার পরেও সে সেখানেই আশ্রয় নেয়।রাশেদের অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ায় দোকানদার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এদিকে রুপার বাবা এক মেয়েকে নিয়ে তাদের বাসায় নিয়ে আসে।তার বাবার মনে হয় এই মেয়ের অস্বাভাবিক ক্ষমতা রয়েছে।সে মেয়ের নাম হলো মদিনা।রুপা মদিনার সাথে কথা বলে।মদিনা তাকে জানায় যে এই বাড়িতে ভুত রয়েছে।সে দেখতে পায় ভুতদের।রুপা তাকে বিশ্বাস করে না।রুপার মা-বাবার মধ্যে অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়েছে।রুপার মা আরেকজনকে বিয়ে করে অন্যজায়গায় চলে যায়।রুপাকেও তার মেয়ে নিতে চেয়েছিল কিন্তু রুপা যায়না।রুপা এবং তার বাবার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হয়।যদিও রুপার বাবা বেশিক্ষন রাগ করে থাকতে পারে না।রাশেদের অসুস্থর খবর সে হাসপাতালের নার্স এসে রুপাকে জানায়।রাশেদ অসুস্থ অবস্থায় রুপাদের বাসার ই কথা বলতে পেরেছে।রুপা হাসপাতালে গিয়ে দেখে রাশেদ সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে গিয়েছে।রাশেদ রুপাদের বাসায় আসে।সেখানে রাশেদের সাথে রুপার বাবার ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়।এদিকে রুপার মা যাকে বিয়ে করেছে সেই লোক আবার অন্য একটি মেয়ের প্রেমে পরে।তার নামে সে ফ্ল্যাট পর্যন্ত কিনেছে।রুপার মার এদিকে অবস্থা খারাপ হতে থাকে।সে অনেক খারাপ অবস্থায় আছে তা রুপা খুব ভালো করেই বুঝতে পারে।রুপা মদিনাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যায়।সেখানে পরীক্ষা করে জানতে পারে যে তার টিউমার হয়েছে।মদিনা রুপাকে জিজ্ঞেস করে সে যে ভুতদের দেখতে পেত রুপা দেখত কিনা।প্রথমে সে বিষয়ে কথা বলতে না চাইলেও রুপা পরে শিকার করে যে যেও দেখতো।তারও কিছু অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।যদিও তা কেউ জানে না।রুপা তার মাকে চলে আসতে বলে টগরকে নিয়ে।টগর রুপার ভাই।তার মা প্রথমে রাজি না হলেও পরে আসতে রাজি হয়।রুপা তার ক্ষমতা দিয়ে বুঝতে পারে যে রাশেদের সাথেই তার বিয়ে হবে।এদিকে রাশেদ এর বিয়ে হয়েছে এক মেয়ের সাথে।রাশেদকে আবার রুপা ব্যানার্জি নামে এক মেয়ে অনেক ভালোবাসে।গল্পটার সবকটি চরিত্রই অনেক ভালো লেগেছে।বিশেষ করে রুপা এবং মদিনার কাহিনি সত্যি অনেক ভালো লেগেছে।মদিনাকে একজন এসে অনেককিছু বলে যায়।আবার রুপা ভবিষ্যতের অনেক কিছু বলতে পারে।এ ক্ষমতা মদিনা ছাড়া আর কেউ জানে না।রুপার বাবার কাহিনীও মজাদার ছিল।সে অনেক বোকা একজন মানুষ বলে মনে হয় রুপার কাছে।রাশেদের শেষের কাহিনী গুলোও অনেক ভালো লেগেছে।সবাই পড়ার মতো একটা বই।সবার ভালো লাগবে আমার বিশ্বাস। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯