মানুষের মাঝে আনন্দ বিতরণ করাকে সুমন পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে। মানুষ তার এই পেশাকে নানান ভাষায় আখ্যায়িত করে। সুমনের বিয়ের প্রস্তাব আসে। পেশার কথা শুনে মেয়ের মা কোনোমতেই মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। ছোট বোন তিশা ছেলের পেশা শুনে ইন্টারেষ্ট ফিল করে। সে পাত্র দেখতে যায়। সুমন তার মাঝে আনন্দ বিতরণ করে। সে অসম্ভব খুশি। বাসায় এসে জানায়, পাত্র ভালো। পাত্রের বংশ আরোও ভালো। তাদের বংশের পুরুষ মানুষেরা বউয়ের কথায় ওঠে আর বসে। বড় বোন বিয়ে করতে রাজি না হলে সে বিয়ে করতে রাজি আছে। পাত্রীর মা কোনোমতেই বেকার ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি না। সকলের অনুরোধে তিনি মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে যান। সুমন তার মাঝেও আনন্দ বিতরণ করে। বাসার সকলে বিয়েতে রাজি হয়। বাধ সাধে পাড়ার ছেলে কোনোদিন ভালেবাসার কথা বলতে পারেনি। কারণ, সুমিকে দেখলেই লাভলুর বুকের মাঝে ভাইব্রেশন শুরু হয়। অনেকবার সুমির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বুকে ভাইব্রেশন হওয়অর কারণে ভালোবাসার কথা সুমনকে জানায়। সব শুনে সুমন ভাবে, তার কাজ মানুষের মাঝে আনন্দ বিতরণ করা। সে লাভলুকে ভালোবাসা অর্জনের জন্য পনের দিন সময় দেয়। লাভলু পড়ে মহাটেনশনে। কোনো উপায়ান্তর না দেখে মেয়ের বাসার সামনে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমরণ অনশন শুরু করে। তার এ কাহিনী মিডিয়ায় প্রচার হতে থাকে। ঘটে নানান রকম মজার ঘটনা। লাভলু কি ভালোবাসার মানুষের মন পাবে? নাকি আনন্দ বিতরণ করতে গিয়ে সুমন নিজেই হবে কারও দুঃখের কারণ? হাসি..মজা...
পরিতোষ বাড়ৈ
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। নেশা লেখা। ছােটবেলা থেকেই সাহিত্যের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়াই লেখার উদ্দেশ্য। সমাজ সংস্কার, লেখার অঙ্গীকার, আলােকিত সমাজ, লেখার স্বপ্ন সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই তার বিচরণ । নিরন্তর লিখে চলছেন গান, কবিতা, নাটক। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন অনেক পুরস্কার । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার, মাদারীপুর; নজরুল সাহিত্য সম্মাননা, ঢাকা; মরমী কণ্ঠশিল্পী আব্দুল আলীম স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ লােকগীতি শিল্পীগােষ্ঠি, ঢাকা; মানবাধিকার সম্মাননা পদক, ঢাকা; নির্ভিক সংবাদ স্বর্নপদক, ঢাকা ।