বাজার থেকে গুলি ছোড়ার আওয়াজ শোনে রিপা। রমজান মাসের শেষ দিনে রাজ্যের লোক জড়ো হয়েছে অলকী নদীর পাড়ে।
সন্ধের মিটমিটে আলো আলো আলো উবু হয়ে শুয়ে আছে নদীর জলে। পনেরো-বিশটা ডিঙি নৌকা ভরতি লোক নদীর মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে হই হুল্লোড় করছে চাঁদ দেখার আনন্দে। নদীর জল ঠেলে বের হয়ে আসছে গোলাকার রুপোলি আয়নার মতো দেখতে চাঁদটা। কাল ইদ। ̄নেশ্বর গ্রামের অধিবাসীদের ইদের চাঁদ এহেন আয়োজন এমনই উৎসবের রেশ ছড়ায় চারপাশে। ইদের আগেই এ আরেক ইদের খুশি। গ্রামের চেয়ারম্যান, মেম্বার থেকে শুরু করে ছেলে বুড়ো প্রায় সবাই চাঁদ দেখার আয়োজনে জড়ো হয়। চাঁদ দেখতে পাওয়ার সাথে সাথে ̄নেশ্বর গ্রামের একমাত্র বাজার জনতার হাট থেকে পরপর আকাশ তাক করে তিনবার গুলি ছোড়া হয়। অন্ধ মানুষও যেন ইদের চাঁদ ওঠার এই আনন্দ টের পায় তাই!
রাস্তা পার হবার সময় গন্ধগোকুলটার ওপর চোখ যায় রিপার। বোকা প্রাণীটা বাড়ির পেছন দিককার পানির ট্যাংকির দিকে গিয়ে না ঝামেলা পাকিয়ে ফেলে। চোখ-কান খোলা রাখতে হচ্ছে তাকে কয়েকটা দিন। গন্ধগোকুলটা মাংসের খোঁজ করছে। মাংস ওদিকে আছে তবে মুরগির বাচ্চার মাংস নয় মানুষের বাচ্চার মাংস!
কিঙ্কর আহ্সান
দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। টানা পাঁচ বছর বাংলানিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, পরিবর্তনসহ দেশের প্রায় সব শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে লিখেছেন ছোটগল্প। কালের কণ্ঠের ‘বাতিঘর’ পাতায় শিক্ষানবিস সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। লেখালেখির পাশে হাত পাকিয়েছেন ফিল্মেও। ‘পাতার নৌকা’, ‘ক্রিং ক্রিং’ ও ‘জলপরানি’ টেলিফিল্মের কাজ করে হয়েছেন প্রশংসিত। ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ টিভি শো’র সহকারী স্ক্রিপ্ট রাইটারের কাজ করেছেন। এছাড়া ‘মার্কস অলরাউন্ডার’, ‘হাসতে মানা’, ‘হান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ নেভী’ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সুপার লীগ-গ্রান্ড লোগো আনভেইলিং’র প্রধান স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিলেন। কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সংঘ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, কণ্ঠশীলন, মুক্তআসর, বিল্ড বেটার বাংলাদেশসহ আরও অনেকগুলো সংগঠনের সাথে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে ডকুমেন্টারি নির্মাণসহ আরও নানান কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। চ্যানেল আইয়ের ‘আই পজিটিভ কমিউনিকেশন’-এ অ্যাসোসিয়েট গ্রুপ হেড হিসেবে কর্মরত ছিলেন দুই বছর। বর্তমানে কাজ করছেন ‘সান কমিউনিকেশন’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। সবকিছুর পরেও লেখালেখিই কিঙ্কর আহ্সানের আসল জায়গা। তার সর্ম্পকে এক কথায় বলতে গেলে তার বুবুর কাছ থেকে শোনা কথাটাই বলতে হবে, ‘মাটির মানুষ ছেলেটা তবুও আকাশে ডানা মেলে ওড়ার আজন্ম সাধ তার।’ এ পর্যন্ত ছয়টি বই লিখেছেন তিনি। বইমেলায় প্রকাশিত তার পাঠকপ্রিয় বইগুলো হলো- আঙ্গারধানি (উপন্যাস), কাঠের শরীর (গল্পগ্রন্থ), রঙিলা কিতাব (উপন্যাস), স্বর্ণভূমি (গল্পগ্রন্থ), মকবরা (উপন্যাস) ও আলাদিন জিন্দাবাদ (গল্পগ্রন্থ)