রক্তকিংশুক মূলত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা রক্তবমনের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস- যেখানে বিজয়ের প্রতিটি মঞ্চ দাঁড়িয়ে থাকে অগুণতি পরাজয়ের আনবিক কাঠামাের 'পরে; যেখানে দৃশ্যত পরাজয় আসলে শেষ পর্যন্ত জিতে যাবার আনন্দ। গণমাধ্যমের ইশতেহারে আবার যেদিন ফিরে আসবে ‘গণ-মানুষের গল্প, সেদিন হয়ত এই উপন্যাসটির আর কোনাে দাবি থাকবে না পাঠকের প্রতি। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত- পাঠক, রক্তকিংশুক আপনার প্রতিদিনের জীবনে একটি অলঙ্ঘনীয় ব্যারিকেড। মলাট বন্ধ করে বইটি রেখে দিতে পারেন, মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে পারেন কিন্তু রক্তকিংশুক যেহেতু বহন করে চলছি আমরা প্রত্যেকেই, সেহেতু এড়াতে পারবেন না।
মারুফ রসূল
মারুফ রসূল।
জন্ম: ১৯ ফাল্গুন, ১৩৯৩: ০৩ মার্চ, ১৯৮৭, ঢাকায়।
লেখাপড়া: গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রক্তকিংশুক তার অষ্টম উপন্যাস।
প্রকাশিত অন্যান্য উপন্যাসগুলাে: একটি উপন্যাসের গল্প(২০১১), শূন্যের ভেতর ঢেউ (২০১২), হৃদয়দানিতে শ্বেত অপরাজিতা(২০১৩), ছায়াপথিকের বাতিঘর(২০১৪), রন্দ্রপ্রহর(২০১৫), কাঁচা দুধের গন্ধ (২০১৭), আনন্দী (২০১৮), মুহূর্ত থামাে, তুমি সুন্দর (২০১৯)। ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের বক্তব্য-বিবৃতি ও স্মারকলিপিগুলাে নিয়ে তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বলছি প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে।