প্রাতরাশ নাস্তা নয়। কিন্তু নাস্তা প্রাতরাশ হতে পারে। নাস্তা হতে পারে মধ্যাহ্ন ভােজনের পূর্বে, বিকেলে নাস্তা হতে পারে। সন্ধ্যায় চায়ের সাথে নাস্তা হতে পারে। অতিথি আপ্যায়নে প্রয়ােজন হয় নাস্তার। নাস্তা প্রয়ােজন বাচ্চার টিফিনে। ইফতারিতেও হরেক রকম নাস্তার প্রয়ােজন হয়। যদিও এ নাস্তা এক এক সময় এক এক নামে নামকরণ হয়।
বহু পূর্ব থেকেই এ নাস্তার প্রয়ােজনীয়তা চলে এসেছে এ দেশে। | মেহমান এলেই কেউ সাথে সাথেই ভুঁড়িভােজনের আয়ােজন করে না। সময় অবস্থা অনুযায়ী হালকা ভারি নাস্তার ব্যবস্থা করে থাকে।
অতীতে গ্রামঞ্চলে মেহমানের জন্য মুড়ি চিড়া খৈর ব্যবস্থা করে রাখা হতাে। শুধু তাই কেন, মুড়ির মােয়া চিড়ার মােয়া, খৈ-এর মুরকি, বাদাম মুড়কি, নারকেল নাড় তিলের নাড় আরাে কত কি! শহরে এসব যে কেউ একেবারেই পছন্দ করে না তা নয়। পছন্দ করলেও শহরে রকমারি নাস্তা পণ্য হােটেল রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে নানান নানান ফর্মে পাওয়া যায়। তার মূল্যই যে বেশি তাই শুধু নয় খাবারের মান সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সে প্রশ্নও থেকে যায়। তাই যারা ঘরে খাবার তৈরি করতে ইচ্ছুক তাদের জন্যই রকমারি নাস্তার বই।
রকমারি নাস্তার বইটি অনুপ্রাণিত করতে পারে নাস্তা তৈরিতে। বাণিজ্যিকভাবে নাস্তা তৈরিতে হাতেখড়ি হতে পারে এই বই। কিংবা ঘরে বসে মিলে যেতে পারে রেস্টুরেন্টের আমেজ।