“বহতা, তুই নদীর মতো বয়ে চল নিরবধি। কখনো যদি ক্লান্তি লাগে আমাকে বলিস। আমি তোর ঘাটে নোঙর ফেলব। একপাল ছেলে-মেয়ে সামলাতে আমার ভালো লাগবে। কনসিডার মি। প্লিজ!
ইতি
আদি, যে নামে চিনিস।’
যে ছেলে প্রপোজের প্রথম চিঠিতেই বাচ্চাকাচ্চার প্রসঙ্গ নিয়ে আসতে পারে, সে যে সে চিজ না! এর সাথে জীবন বরবাদ করা যেতে পারে। বহতার ভালো লেগে যায়। সেই থেকে ওরা একসাথে। ক্লাস, লাইব্রেরি, অ্যাসাইনমেন্ট। কিন্তু বহতা আদির চোখজুড়ে যে স্বপ্ন, সে স্বপ্নরা ঝরে পড়ে এক দমকা হাওয়ায়। বহতা দেখতে নারী হলেও সে আসলে নারী নয়!”
এমনই সব গল্পের ছলে প্রয়োজনীয় তথ্য, তত্ত্ব, রোগ আর রোগের পিছনের কারণ জানিয়ে লেখা হয়েছে ‘রোগীকথন : জানা-অজানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কথকতা’ বইটি। এই বইয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এমনটা যে হতে পারে সেটা মানুষকে জানানো। জানলে মানুষ সচেতন হয়। ভুল কম করে। বইটি পড়ে একজন মানুষও যদি সচেতন হন তবেই লেখিকার পরিশ্রম সার্থক হবে।
উল্লেখ্য, চিকিৎসাবিদ্যায় কাউকে পারদর্শী করে তোলার উদ্দেশ্যে এই বই রচিত হয়নি। একজন চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা দিতে গিয়ে যেসব ঘটনা লেখিকা প্রত্যক্ষণ করেছেন সেসব-ই কেস হিস্ট্রি হিসেবে, সহজ ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আশা করছি বইটি পড়ে পাঠক নিরাশ হবেন না।
ডা. ছাবিকুন নাহার
Title :
রোগীকথন : জানা-অজানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কথকতা