সারথি ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। খুব শীত শীত লাগছে তার। মনে হলো সারা ঘরময় একটা শীতের ঝাপটা বয়ে যাচ্ছে। এমন যখন অবস্থা হঠাৎ তার মাথায় একটা শীতল হাতের স্পর্শ পায়। তার আরও ঠান্ডা লাগে কিন্তু হাতটা সে সরায়না।
সেই ঠান্ডা হাতটা কেমন যেন তাকে মায়াময় আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ততক্ষণে সারথি দেখতে পেল চারপাশ সাদা। গাছ, মাটি, ঘরবাড়ি সবই সাদা। মুগ্ধতায় ছাওয়া মনোরম পরিবেশে সে তার মায়ের কোলে মাথা রেখে একটি গাছের নিচে শুয়ে আছে। সামনেই সাদা বরফ অক্ষরে বড়ো বড়ো করে লিখা আছেÑ ‘মায়াবী ভূত রাজ্যে তোমাকে স্বাগতম’। আস্তে আস্তে তার ভালো লাগছে, খুব বেশি ভালো লাগছে।
সারথি চোখ বন্ধ রেখেই ঠান্ডা হাতটা আরেকটু টেনে তার গালে ছোঁয়ালো, বুকে জড়িয়ে ধরল... এরকম রহস্যময় গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘রক্তচোষা ড্রাগন। বইটি ছোটো-বড়ো সব বয়সি পাঠকের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস।