রবীন্দ্রনাথের বিশাল বৃক্ষ-ভুবনে বনবাণী একটা বড় জায়গা দখল করে আছে। বনবাণী কাব্যে তিনি শুধু পুষ্প-বৃক্ষ-লতাগুল্মের কথাই বলেছেন প্রাণ খুলে। তিনি অন্তরাত্মা দিয়ে তরুজগতের যে আপন ভাষা উপলব্ধি করেছিলেন, তার ঘটনাবহুল আলোকপাতই এখানে মাধুর্যমন্ডিত ভাষায় বিবৃত হয়েছে। ‘রবীন্দ্রনাথের সচিত্র বনবাণী’ অ্যালবামে বনবাণী কাব্যে উল্লিখিত পুষ্প-বৃক্ষের রঙিন আলোকচিত্র, সংশ্লিষ্ট উদ্ধৃতি এবং সংক্ষিপ্ত পরিচিতি স্থান পেয়েছে। একসময় বনবাণী আলাদা বই হিসেবে বাজারে পাওয়া গেলেও এখন আর পাওয়া যায় না। আগ্রহী পাঠকদের কথা ভেবেই নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত হলো গ্রন্থটি। বনবাণী কাব্যে কবি একাধিক বৃক্ষ শিরোনাম ব্যবহার করেছেন। আবার প্রধান শিরোনামগুলোর অধীনে বিচিত্র বৃক্ষরাজির কথাও বলেছেন। আলোকচিত্রের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে তাই প্রথমে মূল শিরোনাম এবং পরে অন্তর্গত বৃক্ষগুলোর ক্রমসজ্জা বজায় রাখা হয়েছে। এভাবে একজন পাঠক খুব সহজেই কাক্সিক্ষত ছবি, বর্ণনা এবং উদ্ধৃতির সন্ধান পাবেন। বনবাণী কাব্যে কবি একই বৃক্ষের একাধিক নাম ব্যবহার করেছেন। যেমন- কদম, কদম্ব, নীপ; আবার পলাশ, কিংশুক ইত্যাদি। আছে চাঁপা, নাগেশ্বর, নীলমণি, মধুমঞ্জরি, শিউলি, চামেলি, পদ্ম, পারিজাত, শিমুল, বকুল, আমলকী, বট, ছতিম, শাল আর করবীর রঙিন আলোকচিত্র এবং বর্ণনা। অ্যালবামের বাঁদিকের পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বনবাণী আর ডানদিকের পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট ছবি, উদ্ধৃতি এবং পরিচিতি। সবকিছু মিলিয়ে এই অ্যালবামের মাধ্যমে কবির বনবাণীর চিত্রকল্পটুকু কিছুটা হলেও অনুভব করা যাবে।