ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কেউ আপন জ্ঞান-বুদ্ধির ক্ষমতা প্রয়োগ করে, কোনো রচনা তৈরি করে, ঘোষণা করতে পারেন, এটি একটি গল্প। তার সেই ঘোষণাকে শিরোধার্য না করে উপায় থাকে না কেননা কোনো রচনা ‘গল্প’ হয়েছে কিনা তা যাচাই করার কোনো পরীক্ষা নেই। পরীক্ষা আছে হাসির গল্পের বেলায় কেবল। এ ক্ষেত্রে ‘হাসির গল্প’ বলে ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, যে কেউ এর তাৎক্ষণিক এবং সমর্থ প্রতিবাদ জ্ঞাপন করতে পারেন, বলতে পারেন, এটা কোনো হাসির গল্প হয় নি, কারণ এটা পড়ে আমার মধ্যে হাসির কোনো নাম-গন্ধ সঞ্চারিত হয় নি। এক কথায় হিউমার বা স্যাটায়ার-এর বেলায় এই বিবেচনা বির্কোধ্ব। সে জন্যই এই জাতীয় রচনায় একান্ত দুঃসাহসী না হলে কেউ হাত দেয় না। সঙ্গত কারণেই কেবল বাংলা সাহিত্য কেন, ইউরোপ আমেরিকায়ও এই পাঠকপ্রিয় খাতের সাহিত্য স্রষ্টাদের হাতে গোনা যায়। Jerome k. Jerome, P.S. Wodehouse, Joseph Heller (Catch 22-এর লেখক), রাজশেখর বসু (পরশুরাম) সৈয়দ মুজতবা আলী, শিবরাম চক্রবর্তী, গৌরিকিশোর ঘোষ, আসহাবউদ্দীন আহমদ, আবদার রশীদ, ব্যাস, লিস্টি খতম।
তিতাশ চৌধুরী ঐকান্তিক প্রয়াসে এই গ্রন্থের এক অংশে মৌলিক হাস্যরসখচিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খণ্ডচিত্র দক্ষতার সঙ্গে সার্থকভাবে পরিবেশন করেছেন। তাঁর রচনা প্রসাদ গুণান্বিত ও রস-সমৃদ্ধ। এবং এই গ্রন্থের অন্য অংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি স্বল্পালোচিত হালকা মেজাজকে যে-ভাবে একই রকম হালকা-গম্ভীর সহজ-কঠিন ভাষ্যে ধারণ করেছেন তাও কম কৃতিত্বের পরিচায়ক নয়।