‘সুভা’ এক নির্যাতিত নারীর কাহিনী। ‘কাবুলিওয়ালা’র রহমত জীবিকার জন্য নিজের দেশ ছেড়ে কলকাতায় এসে বাস করে, জেলে যায়, কিন্তু তার মন পড়ে থাকে নিজের বাড়িতে, তার মেয়ের কাছে। ‘দালিয়া’ গল্পে প্রেমের কাছে অহংকার হেরে যায়। তিনটিতেই মানুষের জন্য রবীন্দ্রনাথের মমতা মূর্ত হয়ে ওঠে।
রঞ্জনা বিশ্বাস জন্ম ১০ ডিসেম্বর ১৯৮১, গোপালগঞ্জ জেলা। ‘ভুল স্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ তাঁর কবিতার বই। কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও তিনি ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। নিজ এলাকার লোকশ্র“তি সংগ্রহ করে চলছেন। কোটালীপাড়া এলাকার রূপকথার সংগ্রহ বেরিয়েছে ‘জয়নাল বাদশা ও রাজপুত্র তাজেম’ (২০১১) নামে। তাঁর উলেখযোগ্য গবেষণাকর্ম ‘বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা’।
রঞ্জনা বিশ্বাস
রঞ্জনা বিশ্বাস ১৯৮১ সালের ১০ ডিসেম্বর গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের খাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নির্মল বিশ্বাস ও মা পরিমলা বিশ্বাস। তিন ভাই-বােনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় বােন খ্রিস্টিনা সীমা বিশ্বাস ও ছোটভাই রােল্যান্ড রাসেল বিশ্বাস। রঞ্জনা বিশ্বাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস।
রঞ্জনা বিশ্বাসের মূল আগ্রহের বিষয় ফোকলাের ও নৃতত্ত্ব। মূলত কবি হলেও গবেষণা ও কথাসাহিত্যেও রয়েছে তার সমান পদচারণা। এই পর্যন্ত প্রকাশিত তার কবিতার বইগুলাে হলােঃ ভুলম্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন (২০০৯) আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি (২০১০) ও বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস (২০১৬)। উপন্যাস: বিষ্যুদবারের বারবেলা (২০১৭)। শিশুতােষ: জয়নালবাদশা ও রাজপুত্র তাজেম (২০১১), উড়াল। ঘােড়া (২০১৭)। গবেষণা ও প্রবন্ধ: বেদে জনগােষ্ঠীর। জীবনযাত্রা (২০১১), বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক: নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিকধারা (২০১৫), বাংলাদেশের বেদে জনগােষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয় (২০১৫), রবীন্দ্রনাথ: কাবুলিওয়ালা, সুভা ও দালিয়া (২০১২), সাহিত্যে বেদে সম্প্রদায় (২০১৬), কিতুবীম হিব্রু কবিতার সাহিত্যমূল্য (২০১৭) ও লােকসংস্কৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ (২০১৭)। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৫।
Title :
রবীন্দ্রনাথ : ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘সুভা’ ও ‘দালিয়া’