সাড়ে বারো বছরের এক বাচ্চা গ্রহ সম্পর্কে লিখছে, ভাবছে অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে, সে লেখা পত্রিকায় বেরুচ্ছে, তাও ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে, এ এক আশ্চর্য ঘটনা। ছিয়াত্তর বছর বয়সে এক কবি সৌরজগতের পরিচয় তুলে ধরে বই লিখছেন, এও এক আশ্চর্য ঘটনা। এই শিশু ও এই কবির নাম রবীন্দ্রনাথ। তাঁর কিছু-কিছু লেখা বিজ্ঞানের দিক থেকেও ব্যাখ্যা করা সম্ভব। তপন চক্রবর্তী জন্ম ২০ জানুয়ারি ১৯৪২। স্নাতকোত্তর (প্রাণিবিদ্যা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা ; বাংলা একাডেমীর স্বেচ্ছাবসর গ্রহণকারী কর্মকর্তা ; এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্বল্পকালীন স্থানীয় শিক্ষা উপদেষ্টা। প্রকাশিত গ্রন্থ : অনুবাদ, সম্পাদনা ও সংকলন বাদ দিয়ে ২৭ টি। এর মধ্যে আছে শিশুকিশোরদের জন্য লেখা বই। প্রবন্ধ সংকলন : ‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’, ‘শতবর্ষে বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা ও অন্যান্য’। জীবনীগ্রন্থ : ‘বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র ও ড. কুদরাত-এ-খুদা’। পেয়েছেন ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ও অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার।